মাইবাঙের পাথর-ঘর। ছবি: বিপ্লব দেব।
এক সময় ডিমাসা রাজাদের রাজধানী ছিল মাইবাং। আজও সেখানে ডিমাসা রাজাদের নানা স্মৃতিচিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে। আছে ব্রিটিশ নির্মিত নানা সৌধও। সংরক্ষণের অভাবে সেগুলি ধ্বংস হতে বসেছে। নষ্ট হচ্ছে ইতিহাস-খ্যাত এক পাথরের ঘরও। এ বার সে সব সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছে আসাম রাইফেলস। সঙ্গে হালালি প্রোগ্রেসিভ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সোজা কথায়, অতীত বাঁচাতে আধা-সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে প্রাক্তন জঙ্গিদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।
মাইবাং শব্দে ‘মাই’ কথার অর্থ ধান এবং ‘বাং’ মানে প্রচুর। প্রচুর ধান উত্পাদন হতো বলেই এই এলাকার নাম মাইবাং। মাহুর নদীর তীরে ডিমা হাসাও জেলার একটি মহকুমা এই মাইবাং। নদীর পূর্ব দিকে এবং শহরের দক্ষিণাঞ্চলে নানা জায়গায় রাজাদের প্রচুর স্মারক ছড়িয়ে রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে একটি পাথরের ঘর। একই পাথরের উপর দোচালা পাথরেরই ঘর। অনুমান করা হয়, এটি দ্বাদশ শতকের মন্দির। অন্য কোথাও এই ধরনের ঘর বা মন্দির নেই বলেই দাবি স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের।
হালালি প্রোগ্রেসিভ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি-র প্রধান, প্রাক্তন জঙ্গিনেতা দিলীপ নুনিসার কথায়, ‘‘ডিমাসা রাজবাড়ি আমাদের গর্বের স্মৃতিচিহ্ন। এই পাথরের ঘরটিও ঐতিহাসিক দিক থেকে তাত্পর্যপূর্ণ। কিন্তু এগুলিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই।’’ তাই দিলীপ নুনিসারা ঠিক করেছেন, তাঁরাই এ বার এই প্রাচীন নিদর্শগুলি সংরক্ষণ করবেন। আসাম রাইফেলস এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আসাম রাইফেলসের এক কর্তা বলেন, মাইবাংকে তাঁরা ঐতিহাসিক শহরের মর্যাদা এনে দেওয়ার লক্ষ্যে
কাজ করবেন। শীঘ্রই এলাকার সমস্ত জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ডিমা হাসাও পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্দল সদস্য থাইসোডাও থাউসেন তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। এই
কাজে স্থানীয় জনগণেরও পূর্ণ সহযোগিতা মিলবে বলে তাঁদের আশা। হালালি প্রোগ্রেসিভ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি মাইবাঙের এই কাজে জেলা প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন। জেলাশাসক জুরি ফুকনের সঙ্গেও এ নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন বলে দিলীপবাবু জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy