গাড়ি দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর জেরে অবশেষে গ্রেফতার অসমিয়া অভিনেত্রী নন্দিনী কাশ্যপ। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘রুদ্র’র নায়িকাকে মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে গুয়াহাটি পুলিশ।
গত ২৫ জুলাই রাত ৩টে নাগাদ গুয়াহাটির দক্ষিণগাঁও এলাকায় একটি দুর্ঘটনা হয়। অভিযোগ, একটি সাদা রঙের এসইউভি বিপজ্জনক গতিতে ছুটছিল। ২১ বছরের এক পথচারীকে ধাক্কা দেওয়ার পরেও চালক গাড়ি থামাননি। সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে আহত পথচারী এবং ঘাতক গাড়িচালকের পরিচয় প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, আহতের নাম সামিউল হক। তিনি নলবাড়ি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র। পাশাপাশি গুয়াহাটি পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, যুবককে গাড়িটি ধাক্কা মারার পরে আশপাশের লোকজন দৌড়ে গিয়েছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল যুবককে। কিন্তু ঘাতক গাড়িটিকে থামানো যায়নি। দুর্ঘটনার পরে গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে পালিয়ে যান চালক।
পরের দিন এফআইআর দায়ের করে জখম ছাত্রের পরিবার। তদন্তে নেমে রাস্তার সিসিটিভি দেখে গুয়াহাটি পুলিশ। তাতে দেখা যায়, ওই এসইউভি চালাচ্ছিলেন অসমের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নন্দিনী। জখম যুবকের বন্ধুরা তাঁর গাড়ির পিছু নিয়েও থামাতে পারেননি। তিনি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করে। এ-ও জানা যায়, সে দিন রাতে দুর্ঘটনার পরে গাড়ি চালিয়ে বাড়িতেই গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
অন্য দিকে, কয়েক দিন চিকিৎসার পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সামিউলের। পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইসিইউয়ে মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ অভিনেত্রীকে চিহ্নিত করার পরে তিনি সামিউলের চিকিৎসার খরচ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পালন করেননি।
‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলায় অভিনেত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে বুধবার গুয়াহাটির ডিসিপি (ট্র্যাফিক) জয়ন্ত সারথী বলেন, ‘‘একটি সাদা রঙের এসইউভি গাড়ি গত ২৫ জুলাই এক পথচারী যুবককে ধাক্কা মারে। তদন্তে উঠে এসেছে, এক যুবতী ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। পরের দিন সকালে এফআইআরের ভিত্তিতে তাঁকে থানায় ডাকা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’