ভোট হবে কিসে? বিজলি-সড়ক-পানিতে নাকি নরেন্দ্র মোদীর হিন্দুত্বের জ্ঞানে?
রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন ‘উলটপুরাণ’ শুনে প্রথমটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে বসা কংগ্রেস নেতারা। অচিরেই ঘোর কাটল। মোদী আসলে বিষয়টি উত্থাপন করলেন রাহুল গাঁধীকে আক্রমণের জন্য। শুরুতে এমন কথা বলে, তার পর টানা পনেরো মিনিট বলে গেলেন শুধু হিন্দুত্ব নিয়েই।
মধ্যপ্রদেশে বাড়তি ভোটের রহস্য এখনও পুরোপুরি উদ্ধার করতে পারেনি বিজেপি। রাজস্থানের কঠিন জমিতে আর কোনও ঝুঁকিও নিতে চাইছে না তারা। শেষ লগ্নে মোদী আর আরএসএসকে দিয়েই হাওয়া তোলার মরিয়া চেষ্টায় নেমেছে গোটা গেরুয়া পরিবার। আরএসএস সূত্রের মতে, গত ১৪ দিনে রাজস্থানে নিচু তলায় ৩০০টি বৈঠক করেছে সঙ্ঘ। আর মধ্যপ্রদেশেও যেটি মোদী সে ভাবে করেননি, এ বারে রাজস্থানে সেটি করতে পারেন। প্রচার শেষ হতে বাকি দু’দিনেও মোদীকে দিয়েই প্রচার করাতে চাইছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিশেষ করে মাড়ওয়াড় আর শেখাওয়াতি অঞ্চলে।
আরএসএস বলছে, গোটা ভোটপর্বকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে জেলা স্তরে বৈঠক করা। পরে ব্লক স্তরে প্রচার। তৃতীয় ভাগে ঘরে ঘরে প্রচারসামগ্রী বিলি। এ বারে বাকি চতুর্থ ভাগ। সেটি হল ভোটের দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের বুথে নিয়ে যাওয়া। একই সঙ্গে মোদীকেও যতটা সম্ভব কাজে লাগিয়ে হিন্দুত্বের হাওয়া তোলা।
সেই অনুযায়ী আজও জোধপুরে মোদীর বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়ে ছিল হিন্দুত্বের কথা। রাহুলকে নিশানায় নিয়ে মোদী বললেন, ‘‘নামদার বলছেন, মোদীর কোনও হিন্দুত্বের জ্ঞান নেই। হিন্দুত্বের জ্ঞান এত অগাধ, হিমালয়ের মতো উঁচু, সমুদ্রের মতো গভীর— যে ঋষি মুনিরাও দাবি করেন না তাঁদের হিন্দুত্বের পুরো জ্ঞান আছে। কিন্তু যে দাবি ঋষি মুনিরা করতে পারেন না, নামদার তা করেন।’’ এর পরেই মোদী বলেন, ‘‘তিনি গোলাপ রাখতেন, কিন্তু চাষের কিছুই জানতেন না। সে জন্যই চাষিদের এই হাল।’’ যদিও কংগ্রেস পরে বলে, নেহরু নিজের বাড়ির জমিতেই হাল চষতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy