E-Paper

শেষ লগ্নে সুর কাটল কংগ্রেস ও তৃণমূলের

সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের সংসদীয় কার্যালয়ে বিরোধীদের বৈঠকে স্থির হয়, এই বিলের বিরুদ্ধে সব দল মিলে ঝাঁপিয়ে পড়া হবে ওয়েলে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, ওয়েলে শুধুই তৃণমূলের বাহিনী।

অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ০৯:২৩
লোকসভা।

লোকসভা। —ফাইল চিত্র।

চলতি বাদল অধিবেশনের শেষে এসে সুর কিছুটা হলেও কাটল কংগ্রেস এবং তৃণমূলের। অভিযুক্ত মন্ত্রীদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে দু’তরফের মনান্তর স্পষ্ট হয়ে উঠল অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি হয়ে যাওয়ার ঠিক আগের দিন। সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের সংসদীয় কার্যালয়ে বিরোধীদের বৈঠকে স্থির হয়, এই বিলের বিরুদ্ধে সব দল মিলে ঝাঁপিয়ে পড়া হবে ওয়েলে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, ওয়েলে শুধুই তৃণমূলের বাহিনী। বাকিরা সবাই এই বিলের ক্ষতিকর দিক এবং তা নিয়ে আসার পিছনে সরকারের ‘দুরভিসন্ধি’র অভিযোগ তুলে স্বল্পমেয়াদি বক্তব্য পেশ করতে আগ্রহী। লাগাতার গলা ফাটাচ্ছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা ওয়েলে। অন্য দিকে নিজের আসন থেকে বক্তৃতা দিচ্ছেন কংগ্রেসের কে বেণুগোপাল।

বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, দলের পক্ষ থেকে এই ক্ষোভ কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। জানা গিয়েছে, মূলত এই কারণেই আজ সেন্ট্রাল হলে বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে নিয়ে হওয়া সমাবেশে যোগ দিতে যাননি ডেরেক। পাঠানো হয়েছে শতাব্দী রায়কে। শুধু তা-ই নয়, উপরাষ্ট্রপতির মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে সই করার ক্ষেত্রে তৃণমূল কোনও অভিজ্ঞ বা প্রবীণ নেতাকে রাখেনি। সই করেছেন বাপী হালদার, প্রকাশ চিক বরাইক, সাগরিকা ঘোষ, জগদীশ বাসুনিয়া, অসিত মাল, খলিলুর রহমান, মমতা ঠাকুর প্রমুখ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC Congress Bill

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy