কোনও দিন যে অন্ধকার সুড়ঙ্গের বাইরের জগৎটাকে দেখতে পাবেন, সে আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন মণিরাম। গত ১২ তারিখ কিরাতপুর-মানালি এক্সপ্রেসওয়েতে কাজ করতে গিয়ে ১২০০ মিটার গভীর সুড়ঙ্গে পড়ে গিয়েছিলেন মণিরাম। সঙ্গে আরও দু’জন।
ন’দিন পরে, গত রবিবার মণিরাম ও তাঁর সঙ্গী সতীশকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। মণিরামের কথায়, ‘‘আমরা সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা একটা পাইপ থেকে নোংরা জল খেয়েছিলাম। আর সুড়ঙ্গের মধ্যে একটা যন্ত্র ছিল যার ভিতর থেকে নিয়ে আমরা কাগজ খেয়েছিলাম।’’ চারদিকেই ভাঙা পাথর দেখতে দেখতে মণিরামের মনে হয়েছিল যে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। বাঁচার আর আশা নেই।
সতীশ জানান, প্রথম তিন দিন শুধু কাদা, পাথর মেখে খাবারের আশায় চারদিক হাতড়ে বেরিয়েছেন তিনি। চতুর্থ দিন উপর থেকে খোঁড়াখুঁড়ির আওয়াজ পেয়েছিলেন সতীশ। উপরে তাকিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন একটা বিরাট মাপের খাঁচা নামানো হচ্ছে। খাঁচায় ছিল ক্যামেরাও। তখনই স্পষ্ট হয়, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy