নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বিমানঘাঁটি। ছবি: টুইটার।
বছরের শুরুতেই জঙ্গি হানায় কেঁপে উঠল ভারত।
শনিবার গভীর রাতে পঞ্জাবের পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ছয় জঙ্গি। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর তিন জওয়ানও। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ছয় জওয়ান।
এ দিন রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে ছয় জঙ্গি। এরা প্রত্যেকেই সেনাবাহিনীর পোশাকে ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘাঁটির যে অংশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার রাখা থাকে সে দিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের জওয়ানরা। বায়ুসেনা ঘাঁটির মূল্যবান সামগ্রী নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে সেনা তত্পরতায় তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। মাত্র এক দিন আগে পুলিশের গাড়ি হাইজ্যাকের সঙ্গে এই জঙ্গি হামলার যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গি হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পাকিস্তানের নাম না করেও ইসলামাবাদকে বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি। রাজনাথ এ দিন বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক চাই। কিন্তু ভারত জঙ্গি হামলার শিকার হলে তার যোগ্য জবাবই দেওয়া হবে।’’
হামলার দায় কোনও জঙ্গি সংগঠন স্বীকার না করলেও পাক মদতপুষ্ট জৈশ ই মহম্মদই এই হামলা চালিযেছে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। দিন দশেক বাদে পাকিস্তানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবে দুই দেশ। তার ঠিক আগেই এই হামলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ওয়াকিবহালমহল। গতকালই জঙ্গি হামলার আঁচ পেয়ে বায়ুসেনার সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডাকেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ওই এলাকায় নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছিল। গুরদাসপুরে জঙ্গি হামলার মাত্র ছ’মাসের মধ্যে ফের এক বার রক্তাক্ত হল পঞ্জাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy