সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ছবি: পিটিআই।
পঞ্জাবে ফের অশান্তি ও হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। বহিরাগত শক্তির মদতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই চক্রটি। এই অশুভ শক্তিকে নিকেশ করতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে খুব দেরি হয়ে যাবে। শনিবার দেশকে সতর্ক করে এই বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেনা আধিকারিক, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন সরকারি আমলাদের উপস্থিতিতে একটি আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন বিপিন রাওয়াত। পঞ্জাবের পাশাপাশি অসমেও অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেনাপ্রধানের মন্তব্য, ‘পঞ্জাবে আমাদের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে ভাবলে খুব ভুল হয়ে যাবে। যা হচ্ছে, তাতে চোখ বন্ধ করে থাকলে চলবে না। আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।’’ এমনই মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান। তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে আশঙ্কার কথা জানান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রাক্তন ডিজিপি প্রকাশ সিংহ। এই প্রসঙ্গে তিনি সামনে আনছেন ব্রিটেনে খালিস্তানপন্থীদের নিয়মিত মিটিং মিছিলের বিষয়টিকে। ১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে এই মিছিলে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগানও দেয় খালিস্তানপন্থীরা। ‘রেফারেন্ডাম ২০২০’, অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে পঞ্জাবকে স্বাধীন করার ডাক দিয়েছে ‘শিখ্স ফর জাস্টিস’ নামের একটি গোষ্ঠী। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সেনা ও গোয়েন্দা কর্তারা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ফের কট্টরপন্থীদের দাপট, প্রাণ বাঁচাতে দেশত্যাগী আসিয়া বিবির আইনজীবী
যদিও শুধু সেনার ওপর ভরসা করে হিংসার মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন বিপিন রাওয়াত। তাঁর পরামর্শ, সেনার পাশাপাশি সরকার, প্রশাসন, পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একযোগে কাজ করলে তবেই এই অশুভ শক্তির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে চিনের নাম না করে সেনাপ্রধানের মন্তব্য, ‘‘ হিংসার পেছনে আমাদের উত্তরের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ভূমিকা যে যথেষ্ট, তা অস্বীকার করার কোনও কারণ নেই।’’
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ডেরেকের নেতৃত্বে রবিবার অসম যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy