Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

নোবেল ফিরিয়ে দেওয়া উচিত সু চি-র, দাবি নোবেলজয়ী সত্যার্থীর

রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার সরকারের ভূমিকা নিয়ে এ দিন তীব্র নিন্দা করেন সত্যার্থী।

কৈলাশ সত্যার্থী।

কৈলাশ সত্যার্থী।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:১৩
Share: Save:

নোবেল ফিরিয়ে দেওয়া উচিত আউং সান সু-চি-র। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মলনে এ কথা বলেন নোবেলজয়ী ভারতীয় কৈলাস সত্যার্থী। তাঁর দাবি, যদি সম্ভব হত, তা হলে তিনি নিজেই সু চি-কে বলতেন নোবেল ফিরিয়ে দিতে।

আরও পড়ুন: গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে উঠে এল ‘সনাতন সংস্থা’-র নাম

সু-চি-কে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মান সম্প্রতি ফিরিয়ে নিয়েছে ব্রিটিশ সিটি কাউন্সিল। ১৯৯৭ সালে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ ওই সম্মান পেয়েছিলেন সরকারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি। সম্মান ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসাবে অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, তিনি আর ওই সম্মানের উপযুক্ত নন। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন নিয়ে নীরব ভূমিকার কারণেই তাঁর ওই সম্মান ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার সরকারের ভূমিকা নিয়ে এ দিন তীব্র নিন্দা করেন সত্যার্থী। ভারতকে শিশুদের জন্য সুরক্ষিত করে তোলার কাজে নিযুক্ত সত্যার্থী জানান, গত দেড় বছর ধরে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জানিয়ে আসছেন। এমনকী এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠিও লিখিছেন তিনি। জানান, কে হিন্দু কেমুসলিম সেটা বড় বিষয় নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হল প্রত্যক মানুষকে যথাযথ সম্মান দেওয়া।

আরও পড়ুন: সু চি-র খেতাবও কাড়ল অক্সফোর্ড

ভারতে যে সংখ্যায় শিশু নিগ্রহ হয় এ দিন তার একটা পরিসংখ্যানও দিয়েছেন সত্যার্থী। তাঁর দাবি, শিশু নিগ্রহের ঘটনায় গত এক বছরে ১৫ হাজার মানুষ অভিযুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪ শতাংশের শাস্তি হয়েছে। বাকি ৬ শতাংশ প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। বচপন বাঁচাও আন্দোলন-এর প্রতিষ্ঠাতা সত্যার্থী তাই জানিয়েছেন, শিশু অধিকারের ক্ষেত্রে দেশের বিচারব্যবস্থা আরও সরল হওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE