বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তথা কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কাল চার দিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছবেন বাংলাদেশের শাসক দলের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বিজেপির আমন্ত্রণে তাঁদের এই সফর। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছেন দলের সদস্যেরা।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি সূত্রের দাবি, দলীয় সম্পর্ক নিবিড় করতে এই উদ্যোগ। এই প্রতিনিধি দলে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং দুই সাংসদ মেরিনা জাহান কবিতা এবং আরমা দত্ত। আগামী ৯ তারিখ তাঁদের ঢাকা ফেরার কথা।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই দেশে আমেরিকার চাপ বৃদ্ধি নিয়ে হাসিনা সরকার নয়াদিল্লির কাছে ঘরোয়া ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগ এবং চিন্তাভাবনা রয়েছে। কিন্তু ভোট নিয়ে আমেরিকা, ইউরোপ এবং জাপানের পক্ষ থেকে যে ভাবে অতিসক্রিয়তা দেখানো হচ্ছে, তা যথেষ্ট অস্বস্তিকর।
সাউথ ব্লক সূত্রের বক্তব্য, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু পদক্ষেপ সেখানে এখন বাঞ্ছনীয় নয়, যাতে সে দেশে মৌলবাদী, কট্টরপন্থী, সন্ত্রাসবাদীরা উৎসাহিত হয়। সম্প্রতি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে হাসিনা সরকার ১৫ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে। সেখানে ভারতের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওই অঞ্চলের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি উদার, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, কয়েক বছর ধরেই তারা দলীয় স্তরে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার কর্মসূচি নিয়ে চলেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সফর তারই অংশ। ‘রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রবাদ’ সম্পর্কে বিজেপি কী চিন্তা করে, সেটা বিদেশিদের কাছে ব্যাখ্যা করা ও তার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক দৃঢ় করতেই এই উদ্যোগ।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ভুল ছবি দেওয়া হয়েছিল। ছবিটি ছিল বাংলাদেশের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুর রাজ্জাকের। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy