অযোধ্যার মন্দিরের অছি পর্ষদের একটি দল চলতি সপ্তাহেই নেপালে গিয়েছিলেন রামের মূর্তি তৈরির শিলা যাচাই করার জন্য। ফাইল চিত্র।
অযোধ্যার রামমন্দিরের জন্য আরও একটি নতুন রামের মূর্তি তৈরি করতে চলেছে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। তবে এই মূর্তি শিশু রামের নয়। নতুন মূর্তিটি হবে পরিণতবয়স্ক রামের। প্রায় তিন ফুট দীর্ঘ সেই মূর্তির জন্য ইতিমধ্যেই নেপাল থেকে বিশেষ শিলা আনা হচ্ছে অযোধ্যায়। আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবারই সেই পাথর পৌঁছে যাওয়ার কথা উত্তরপ্রদেশের রাম-ক্ষেত্রে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, অযোধ্যার মন্দিরের অছি পর্ষদের একটি দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক প্রতিনিধি চলতি সপ্তাহেই নেপালে গিয়েছিলেন রামের মূর্তি তৈরির ওই শিলা যাচাই করার জন্য। নেপালের মুক্তি ধামের কালি গণ্ডকি নদীর তীরে পাওয়া শালগ্রাম শিলার দু’টি খণ্ড পাওয়া গিয়েছিল। যাকে হিন্দু ধর্মে ভগবান বিষ্ণু বলে মনে করা হয়। সেই দুই খণ্ড শিলাকেই সড়ক পথে নেপাল থেকে গত ২৬ জানুয়ারি রওনা করানো হয়। যা আগামী ১ কিংবা ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অযোধ্যায় পৌঁছে যাওয়ার কথা।
কালিগণ্ডকি নদীতে পাওয়া ওই দু’খণ্ড শালগ্রাম শিলার ওজন প্রায় ৩৫ টন। নেপাল সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে ওই দু’খণ্ড শিলা অন্তত ৬ কোটি বছরের প্রাচীন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওই পাথর ভারতে পাঠানোর বিষয়টি পরিচালনা করছেন নেপালের কংগ্রেস নেতা এবং উপ প্রধানমন্ত্রী বিমলেন্দ্র নিধি। যিনি নিজে জানকপুরের বাসিন্দা। যে জানকপুরকে সীতার জন্মভূমি বলে মনে করেন হিন্দুধর্মীরা।
বিমলেন্দ্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘কালি গণ্ডকি নদীতে পাওয়া শিলাকে ভগবান বিষ্ণুর রূপ বলেই মানা হয়। আর ভগবান রাম তো ভগবান বিষ্ণুরই অবতার। অযোধ্যার মন্দিরের অছি পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ওই শিলা দু’টির জন্য অনুরোধ করেছিলেন। নেপালের সরকার এবং দেশের খনিজ এবং ভূতাত্ত্বিক মন্ত্রক সেই অনুমতি দিয়েছে।’’
কিন্তু কেন এই বদল? মন্দির সূত্রে খবর, নতুন রাম মন্দিরে ভক্তরা বিগ্রহ দর্শন করবেন ১৯ ফুট দূর থেকে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট এই দূরত্ব নিয়ে সন্দিহান। তাঁদের আশঙ্কা, এতে ভক্তদের অসুবিধা হবে। তাঁরা ছোট্ট রাম লালার মূর্তিকে অতদূর থেকে দর্শন করতে পারবেন না। মূলত ভক্তদের সুবিধার জন্যই তিন ফুট দীর্ঘ দণ্ডায়মান রামের মূর্তি তৈরির পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy