এখানেই গড়া হবে রামমন্দির
aসুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ভার এখন কার্যত নরেন্দ্র মোদীর হাতেই। আগামী বছর রামনবমীর সময়েই সে কাজ শুরু করে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। মন্দির গঠনের জন্য তৈরি ট্রাস্টে কারা থাকবেন, তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে, অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি পাবেন হিন্দুরাই। কিন্তু তিন মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করতে হবে মোদী সরকারকে। একটি ট্রাস্টও গড়তে হবে। বিতর্কিত জমি-সহ বাড়তি যে ৬৭ একর জমি কেন্দ্র অধিগ্রহণ করেছিল, সে সবও মন্দির প্রকল্পের জন্য ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। সঙ্ঘের একাংশ মনে করছে, মোদীর হাতেই এখন গোটা বিষয়ের ভার। শীর্ষ আদালত তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করতে বলেছে। এপ্রিলের গোড়াতে রামনবমী। তাই মন্দিরের কাজ শুরু হতে আরও মাস দেড়েক হাতে সময় থাকবে।
ট্রাস্টে কারা সদস্য হবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে নানা শিবিরে। সুপ্রিম কোর্ট সেবায়েত হিসেবে বিতর্কিত ভূমির উপরে নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করেছে। তবে কেন্দ্র চাইলে তাদের প্রতিনিধিকে ট্রাস্টে রাখতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। কিন্তু সঙ্ঘের এক সূত্রের মতে, নির্মোহী আখাড়ার সঙ্গে রামজন্মভূমি ন্যাসের বিবাদ বহু দিনের। রামমন্দিরের নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ১৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ করেছিল নির্মোহী আখড়া। যদিও পরিষদ দাবি করে, সব টাকাই রামজন্মভূমি ন্যাসের হাতে আছে। তাদের টাকা নিয়মিত অডিটও হয়। আজ নির্মোহীর দাবি খারিজ হওয়ায় বরং খুশি সঙ্ঘের একাংশ।
আজই দিল্লিতে অজিত ডোভালের বাড়িতে দেখা করেন যোগগুরু রামদেব। জল্পনা, সোমনাথ মন্দিরের ট্রাস্টের ধাঁচেই এখানেও ট্রাস্ট গড়বেন মোদী। সোমনাথের ট্রাস্টে মোদী, অমিত শাহ উভয়েই আছেন। এখানেও অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ থাকতে পারেন। সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রতিনিধিও থাকবেন। সরকারি সূত্রের মতে, রায় পর্যালোচনার পরে ট্রাস্ট গড়ার কাজ শুরু করতে লেগে যাবে আরও ২-৩ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy