সিবিএসসি, আইসিএসসি-র ধাঁচেই হরিদ্বারের ভারতীয় শিক্ষা বোর্ডকে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র। পতঞ্জলি যোগ পীঠের অধীনে থাকা ওই বৈদিক শিক্ষা নির্ভর ওই শিক্ষা বোর্ডটি গঠনে মূলত উদ্যোগী হয়েছিলেন যোগগুরু রামদেব। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে থাকা অ্যাসোসিয়েশন অবইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিস (এআইইউ) ওই শিক্ষা বোর্ডকে স্বীকৃতি দেয়। হরিদ্বারের ওই বোর্ডের ধাঁচেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে উজ্জয়িনীর মহর্ষি সন্দীপনী রাষ্ট্রীয় বেদ সংস্কৃত শিক্ষা বোর্ডকে। ওই দু’টি বোর্ড থেকে পাশ করা পড়ুয়ারা অন্য রাজ্য বোর্ড বা সিবিএসসি-আইসিএসসি বোর্ড থেকে পাশ করাদের সমতুল্য হিসাবে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। বিরোধীদের মতে এ ধরনেরসিদ্ধান্ত হল শিক্ষায় গৈরিকীকরণের আদর্শ উদাহরণ। প্রসঙ্গত, আজ দিল্লিতে একটি বইয়ের উদ্বোধনে সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবত রামায়ণ-মহাভারতের মতো প্রাচীন গ্রন্থ পড়া ও তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার উপরেজোর দিয়েছেন।
প্রায় সাত বছর আগে যোগগুরু রামদেব হরিদ্বারে থাকা বৈদিক শিক্ষা অনুসন্ধান সংস্থানের মাধ্যমে নতুন একটি শিক্ষা বোর্ড গঠন করার কাজে হাত দিয়েছিলেন। মহর্ষি দয়ানন্দের শিক্ষানীতির সঙ্গেই আধুনিক শিক্ষার মিশ্রণে ভারতীয় শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়। সূত্রের মতে, ওই বোর্ডে বেদ-বেদান্ত, উপনিষদের সঙ্গে আধুনিক বিষয়ের পঠনপাঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সম্প্রতি সেই বোর্ডকে দেশের অন্যান্য স্বীকৃত বোর্ডের সমতুল বলে স্বীকৃতি দিয়েছে এআইইউ। সূত্রের মতে, নিজস্ব শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন ছাড়াও বেদ শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে অন্য বোর্ডের সঙ্গেও হাত মেলাতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষা বোর্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy