জনসভা হয়েছিল দু’দিন আগে। কিন্তু করিমগঞ্জে তার চর্চা এখনও বন্ধ হয়নি। অনেকের মনেই প্রশ্ন, বরাকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে আলোচনার আড়ালে কার্যত বিধানসভা ভোটের দামামাই কি বাজিয়ে গেলেন এআইইউডিএফ শীর্ষ নেতা? কেউ কেউ বলছেন— বরাকের ১৫টি বিধানসভা আসনে কোন প্রার্থীরা কংগ্রেস, বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবেন তা নিজে দেখে গেলেন এআইইউডিএফ শীর্ষ নেতা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল।
সেই দিনের সভায় হাজির ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ কাশিমী, বিধায়ক স্বপন কর, সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস। জাতীয় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও, তা নিয়ে কিন্তু একটি বাক্যও খরচ করেননি আজমল। দক্ষিণ করিমগঞ্জের নিলামবাজারে এআইইউডিএফ-এর সভামঞ্চে দলের নেতাদের নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর এই চেহারা আগে কখনও দেখেননি সাধারণ মানুষ।
বছর দু’য়েক আগে কাটিগড়ার এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুঁইঞা রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দেননি। তার জেরে কংগ্রেস প্রার্থী জিতে যান। এআইইউডিএফ বিধায়কের ওই পদক্ষেপে বিপাকে পড়েছিলেন আজমল। তার কিছু দিন পর তিনি তা নিয়ে প্রকাশ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।