পঞ্চায়েতের প্রাজ্ঞ- প্রবীণদের নির্দেশ ছিল, সাধারণতন্ত্র দিবস থেকে কমবয়সি মহিলা ও বধূরা ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল তথা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। রাজস্থানের জালোর জেলার ১৫টি গ্রাম জুড়ে এমন নির্দেশিকা জারিও হয়েছিল। তবে খবর প্রকাশ্যে আসতে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যার জেরে নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন তাঁরা।
গত ২১ ডিসেম্বর গাজিপুর গ্রামে সুন্ধামাতা পট্টির চৌধরি সম্প্রদায়ের সভা থেকে ক্যামেরাযুক্ত ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। তবে কি-প্যাড যুক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য মোবাইল লাগলে তা বাড়ি থেকে ব্যবহার করতে হবে। কোনও বিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠান বা প্রতিবেশীর বাড়িতে গেলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যাবে না।
এর কারণ হিসাবে নির্দেশ জারি করা পাঁচ প্রবীণ সদস্যের এক জন নটরাম চৌধরি জানিয়েছিলেন, ২১ ডিসেম্বরের সভায় বেশ কয়েকজন মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, শিশুরা বিদ্যালয় থেকে ফেরার পরেই স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করে। নটরামের দাবি, এর ফলে শিশুরা খাওয়া বা পড়াশোনা করত না। সারা দিন ভিডিয়ো দেখত। যা তাদের চোখ ও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলত। তা আটকাতেই কমবয়সি মহিলা ও বধূদের স্মার্টফোন বা ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছিল। তবে ওই সিদ্ধান্ত কেউ মানতে বাধ্য নাও হতে পারেন। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘প্রতিদিন সাইবার প্রতারণা হচ্ছে। মহিলাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’’ সমস্যা সমাধান করার লক্ষ্যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এক মাস পর্যবেক্ষণ করা হত। সকলে গ্রহণযোগ্য মনে করলে তবেই ২৬ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম বাস্তবায়ন করা হত। নটরামের দাবি, ‘‘মানুষ ভুল বুঝেছে।’’
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নির্দেশ জারি করার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ওই প্রবীণদের বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল। যার জেরে নির্দেশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।