‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যান এ সূর্য প্রকাশের সঙ্গে বারুইপুরের সহিদুল লস্কর (বাঁ দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
ডাক পেয়েছিলেন। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ৫০তম পর্বে নয়াদিল্লিতে দূরদর্শনের স্টুডিয়োয় অতিথি হিসেবে হাজিরও ছিলেন তিনি। কিন্তু অনুষ্ঠানটি যাঁর, সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ পেলেন না। ইচ্ছাপূরণ হল না। আফসোস নিয়েই রাজ্যে ফিরছেন বারুইপুরের পুঁড়ি গ্রামের সহিদুল লস্কর।
প্রধানমন্ত্রীকে কী কী বলবেন, তার খসড়া তৈরি করেছিলেন ট্যাক্সিচালক সহিদুল। প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন নিজের বাগানের পেয়ারা, জামরুল। বারুইপুরের সীতাকুণ্ডুতে বোনের স্মৃতিতে গড়ে ওঠা ‘মারুফা মেমোরিয়াল হাসপাতাল’ সংক্রান্ত কয়েক কোটি টাকার একটি প্রকল্প রিপোর্টও ছিল সঙ্গে। কিন্তু এ দিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী না-থাকায় সেগুলো প্রসারভারতীর চেয়ারম্যান এ সূর্য প্রকাশের হাতে তুলে দেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে সহিদুল বলেন, ‘‘আফসোস তো হচ্ছেই। প্রধানমন্ত্রী থাকলে সবটা বলতে পারতাম। চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি পেয়ারা-জামরুলের প্যাকেট আর রিপোর্টটি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দেবেন।’’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন আরও ২৮ জন। গত ২৫ মার্চ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ট্যাক্সিচালক সহিদুলের হাসপাতাল তৈরির প্রচেষ্টাকে ভারতের ‘নতুন শক্তি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লিতে হোটেলে রাখা হয়েছিল সহিদুল এবং তার সহযোগী মইদুল ইসলামকে। এত বিলাসবহুল হোটেল নিয়ে আপত্তি আছে সহিদুলের। তাঁর মতে, অসংখ্য মানুষ চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছেন। অনেকে অর্থাভাবে ওষুধও কিনতে পারছেন না। এই অবস্থায় তাঁদের এত দামি হোটেলে না-রাখাই উচিত ছিল। মারুফা হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়াই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য। সেখানে চালু হয়েছে শুধু বহির্বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy