পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতি মলহোত্রার বিষয়ে আগেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে সতর্ক করেছিলেন এক ব্যক্তি! গ্রেফতারির মাস কয়েক আগেই জ্যোতির সম্পর্কে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। বছরখানেক আগে তাঁরই একটি ভিডিয়ো ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। সেই ভিডিয়ো সম্পর্কেই এনআইএ-কে জানান এক জন এক্স ব্যবহারকারী!
জ্যোতির গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর সমাজমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট আতশকাচের নীচে রয়েছে। যেমন তদন্তকারীরা খুঁজে দেখছেন, তেমনই সমাজমাধ্যমের ব্যবহারকারীরাও বিভিন্ন তথ্য ছড়াচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, অন্তত দু’বার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলেন জ্যোতি। গিয়েছিলেন কাশ্মীরেও। পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ‘প্রমাণ’ হিসাবে জ্যোতির পুরনো কিছু ভিডিয়ো প্রচারের আলোয় এসেছে।
জ্যোতির সমাজমাধ্যমের সেই সব পোস্ট নিয়েই ২০২৪ সালের মে মাসে এনআইএ-কে সতর্ক করেছিলেন কপিল জৈন নামে এক ব্যক্তি। তিনিও সমাজমাধ্যমে জ্যোতির অনুসরণকারীদের তালিকায় থাকা এক জন। সমাজমাধ্যমেই একটি পোস্টে জ্যোতির কার্যকলাপ খতিয়ে দেখার জন্য এনআইএ-কে সতর্ক করেছিলেন তিনি।
কপিল তাঁর পোস্টে জ্যোতিরই ইউটিউব পেজের কিছু ছবির কথা উল্লেখ করেন। লেখেন, ‘‘এনআইএ, দয়া করে এই মহিলার উপর নজর রাখুন। উনি প্রথমে পাকিস্তান দূতাবাসে যান, তার পর ১০ দিনের জন্য পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। পরে ফিরে এসে কাশ্মীরে যান। তাঁর এই সব কার্যকলাপের নেপথ্যে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে।’’
আরও পড়ুন:
জ্যোতির একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। নাম ‘ট্রাভেল উইথ জো’। সেখানে মূলত ভ্রমণের ভিডিয়োই পোস্ট করতেন তিনি। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার। জ্যোতির ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়ো ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, তিনি মাস দুয়েক আগে, অর্থাৎ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার আগে পাকিস্তান গিয়েছিলেন। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ও পারে যাওয়া, লাহৌরের আনারকলি বাজার, পাক পঞ্জাবের কটাস রাজ মন্দির ঘুরে দেখার ভিডিয়োও রয়েছে। পাকিস্তানের খাবার এবং ভারত-পাকিস্তানের সংস্কৃতির তুলনা করেও ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন ইউটিউবার। বছর খানেক আগে কাশ্মীরে যাওয়ার ছবি-ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায়। সেই সব নিয়েই এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। শুধু তা-ই নয়, জ্যোতির গ্রেফতারির পর থেকেই চর্চায় চলে এসেছেন কপিল।