বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপের সিইও সূচনা শেঠকে নিয়েই এখন তোলপাড় সমাজ। কী ভাবে ঠান্ডা মাথায় ছেলেকে খুন করতে পারলেন, এখন সেই প্রশ্নেরই জবাব খোঁজার চেষ্টা করছেন সকলে। এই প্রেক্ষিতে সূচনাকে নিয়ে গোয়ার সেই অ্যাপার্টমেন্টে গেল পুলিশ। উদ্দেশ্য, অভিযুক্ত মাকে দিয়ে চার বছরের ছেলেকে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ।
ছেলেকে খুনের কথা এখনও স্বীকার করেননি মা। এখনও সেই পুরনো জবাবই আউড়ে যাচ্ছেন সূচনা, ছেলেকে মৃত অবস্থাতেই দেখতে পান তিনি। নিজে খুন করেননি। যদিও সূচনার এই জবাবে সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণেও সেই ইঙ্গিত নেই। পুলিশের প্রশ্ন, যদি নিজেই খুন না করবেন ছেলেকে, তা হলে তাকে সুটকেসে ভরলেন কেন? সব মিলিয়ে ছেলেকে খুনের কথা মায়ের মুখ দিয়ে এখনও বলাতে পারেনি পুলিশ। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার গোয়ার ক্যালাঙ্গুটে পুলিশ সূচনাকে নিয়ে যায় সেই অ্যাপার্টমেন্টে। যেখানে ছেলেকে নিয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেখানেই ছেলেকে খুন করে সুটকেসে ভরে আবার বেঙ্গালুরু রওনা দিয়েছিলেন স্টার্টআপের সিইও। কিন্তু মাঝপথেই ধরা পড়ে যান। তার পর থেকেই তিনি ক্যালাঙ্গুটে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সূচনাকে গ্রেফতারির পর একটি নোট পাওয়া গিয়েছে তাঁর লাগেজের মধ্যে। সেখানে সূচনা নিজের হাতে ইংরেজিতে লিখেছিলেন, ছেলের হেফাজত নিয়ে তিনি কেমন বিপর্যস্ত হয়ে আছেন। এই নোটটিকেই তদন্তে মূল হাতিয়ার হিসাবে চিহ্নিত করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। কারণ, এতে সূচনার মানসিক অবস্থা বোঝা যাচ্ছে। এ বার এই পথেই মৃত্যু তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে পুলিশ। তারই অংশ হিসাবে শুক্রবার ঘটনার পুনর্নির্মাণে নিয়ে যাওয়া হল সূচনাকে।
বেঙ্গালুরুতে যেখানে থাকতেন সূচনা, সেখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক ছিল বলেই অনেকে দাবি করেছেন। পুত্রকে নিয়ে সব সময় সাবধানী থাকতেন মা। চার বছরের ছেলের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব চিন্তায় থাকতেন সূচনা। প্রতিবেশীদের দাবি, পুত্রের সম্পর্কে তাঁদের কাছে মাঝেমধ্যে বলতেন। এই ঘটনার পর এক প্রতিবেশী ইনস্টাগ্রামে দাবি করেছেন, ছ’মাস সূচনার প্রতিবেশী ছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “ছেলেকে নিয়ে সব সময় চিন্তা করতেন সূচনা। ছেলেটির শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy