বেঙ্গালুরুতে ময়লার স্তূপ থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে বছর চল্লিশের ওই মহিলার একত্রবাসের সঙ্গীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিয়ে চলে যান।
রবিবার বেঙ্গালুরু পুরনিগম (বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা)-এর সাফাইকর্মীরা আবর্জনার স্তূপ থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করেন। দেহটি ব্যাগে মোড়া ছিল। দেহটি কী ভাবে সেখানে এল, তা বার করতে আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই সূত্রেই তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় চলে আসেন বছর পঁয়ত্রিশের মহম্মদ শামসুদ্দিন। একত্রবাসের সঙ্গীনীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শামসুদ্দিনের বাড়ি অসমে। কর্মসূত্রে তিনি দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর হুলিমাভুতে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই একই ভাড়াবাড়িতে থাকতেন আশা নামের ওই মহিলা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় বছর ধরে এক সঙ্গে থাকছিলেন দু’জনে। আশা একটি সংস্থার অধীনে বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। অবশ্য শামসুদ্দিন কী কাজ করতেন, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
বেঙ্গালুরু পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) লোকেশ বি জগালসর জানান, তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি হয় দু’জনের মধ্যে। তার পর আশার শ্বাসরোধ করে খুন করেন শামসুদ্দিন। আশার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর দেহটি বাইকে চাপিয়ে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেন অভিযুক্ত। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে এ-ও জানা গিয়েছে যে, শামসুদ্দিন বিবাহিত। অসমে তাঁর স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আশারও এক সন্তান রয়েছে। তবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেঙ্গালুরুতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী বলেই নিজেদের পরিচয় দিতেন।