Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Bihar Election 2020

বিহারে রাহুলের হাতিয়ার পরিযায়ী, চাষি ও রুজি

দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিনে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস-আরজেডি-র জোটের জোটের শরিকরা ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘জয় শ্রী রাম’ জয়ধ্বনিতে আপত্তি তোলে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ০৪:২১
Share: Save:

বিজেপি বিহারের ভোটকে জাতীয়তাবাদ থেকে ভোটের মেরুকরণের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস ও তেজস্বী যাদবের চেষ্টা পরিযারী শ্রমিকদের ক্ষোভ, চাষিদের ফসলের দাম, রোজগারের অভাবের দিকেই ভোটারদের নজর আটকে রাখা।

দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিনে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস-আরজেডি-র জোটের জোটের শরিকরা ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘জয় শ্রী রাম’ জয়ধ্বনিতে আপত্তি তোলে। একে মোদীর জাতীয়তাবাদ ও ভোটের মেরুকরণ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। পাল্টা কৌশলে বিহারের প্রচারে রাহুল গাঁধী আজ প্রশ্ন তুললেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার সময় নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমার কোথায় ছিলেন?

দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের সময়ই তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণের এলাকায় প্রচারে রাহুল বলেন, ‘‘আমরা তো সরকারে ছিলাম না। বিহারেও না, কেন্দ্রেও না। তা সত্বেও কংগ্রেস পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাসের বন্দোবস্ত করেছে। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যা ছিল, আমরা শ্রমিকদের জন্য করেছি। কারণ আমাদের হৃদয়ে শ্রমিকদের জন্য স্থান রয়েছে। নীতীশ কুমার, নরেন্দ্র মোদী তখন কোথায় ছিলেন?’’

উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনেও ভোটগ্রহণ হল এ দিন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা উত্তরপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তা থেকে সাত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস কতখানি ফায়দা পাবে, তা নিয়ে কংগ্রেস শিবিরেই প্রশ্ন রয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ নিজে উপনির্বাচনে প্রচারে গেলেও, প্রিয়ঙ্কা প্রচারে যাননি। মাঠে নামেননি অখিলেশ যাদব, মায়াবতীও। কংগ্রেস নেতাদের অনুমান, মায়াবতী কার্যত বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে দেওয়ায় বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই অখিলেশের। মোদী বিহারে গিয়েও উত্তরপ্রদেশের কথা মাথায় রেখে রামমন্দির নিয়ে আবেগ উস্কে দিতে চেয়েছেন।

বিজেপির কৌশল বুঝে রাহুল এ দিন ফের ফসলের দাম নিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মোদী সরকার গোটা দেশে কৃষি আইন জারির আগে বিহারে একই ব্যবস্থা চালু করেছিল। বিহারে নীতীশ সরকার চালে ১২০০ টাকা কুইন্টাল প্রতি এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) দিচ্ছে। ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস সরকার দিচ্ছে ২৫০০ টাকা। বিহার কেন পারছে না? মোদী বিহারে প্রচারে রাহুল-তেজস্বীকে ‘ডাবল যুবরাজ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশেও যে রাহুলরা অখিলেশের সঙ্গে জোট বেঁধে হেরেছিলেন, তা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। আজ রাহুলের জবাব, ‘‘আরএসএস ও নরেন্দ্র মোদী আমাকেই সব থেকে বেশি নিশানা করে। যদি কেউ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করে, সেটা আমি। আমি সত্যের পথে চলি। ওরা যা বলে বলুক, কিছু এসে যায় না। আমরা ওদের হারাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE