পাগলা ঘোড়া খেপেছে। কিন্তু বন্দুক ছুড়ে মারবে কাকে? শহরের গাদা গাদা বেওয়ারিশ ঘোড়ার কোনটা যে সেই ‘পাগলা ঘোড়া’ বুঝেই উঠতে পারছে না কেউ। অতঃপর প্রশাসনিক স্তরে যা হয় তা-ই হয়েছে। পাগলা ঘোড়া খুঁজতে বেশ কয়েকটি কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটি খুঁজছে। আর শহরের মানুষ এখন ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। প্রাতর্ভ্রমণকারীরা হাঁটাহাঁটি আপাতত মুলতুবি রেখেছেন। কারণ পাগলা ঘোড়ার কামড়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাফ ডজন মানুষ।
ঘটনা বেতিয়ার। বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার সদর শহর বেতিয়া। পাগলা ঘোড়াকে খুঁজতে চারটি কমিটি তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। পশ্চিম চম্পারণের জেলাশাসক নীলেশ দেওরা বলেন, ‘‘মূল সমস্যা হচ্ছে ঘোড়াটিকে চিহ্নিত করা।’’ শহরবাসীর প্রতি জেলাশাসকের বার্তা, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সেই আশ্বাসে বাসিন্দাদের চিন্তা কমছে না।
দিন কয়েক আগে সকালে ভ্রমণে বার হওয়া বিদ্যাদেবী (৬৫) ঘোড়ার কামড়ে জখম হন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে তিনি মারা যান।
প্রশাসনিক চারটি কমিটির মধ্যে সমন্বয় করছেন সদর এসডিও বৈদ্যনাথ পাসোয়ান। একটি দলের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিডিও, অন্যটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সার্কেল অফিসার। একটি দল বেতিয়া পুরসভার এবং চতুর্থ দলটি পুলিশের। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের আধিকারিক অতুল শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘‘পাগলা হওয়ার পরেই ঘোড়া কামড়ায়। এটা নজিরবিহীন ঘটনা নয়।’’