রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীকে জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতীয় স্মারক পরিচালনার ট্রাস্ট থেকে সরিয়ে দিতে সংসদে বিল আনল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
জালিয়ানওয়ালা বাগ মেমোরিয়াল পরিচালনার জন্য ১৯৫১-য় ট্রাস্ট তৈরির পর থেকেই আইন অনুযায়ী কংগ্রেস সভাপতি তার সদস্য হন। ওই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী। অন্য সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তার সঙ্গে তিন জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
আজ লোকসভায় জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতীয় স্মারক সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মা। সংশোধিত আইনে ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে কংগ্রেস সভাপতির অন্তর্ভুক্তি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আরও একটি বদল হচ্ছে। তা হল, বিরোধী দলনেতা অথবা বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা ট্রাস্টের সদস্য হবেন। সরকারি সূত্রের খবর, ক্ষমতায় ফিরলে আগামী বছর এপ্রিলে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের শতবর্ষ ঘটা করে পালন করতে চায় মোদী সরকার। তার জন্যই ট্রাস্টে এই রদবদলের পরিকল্পনা। ট্রাস্টের সচিব হিসেবে প্রথম থেকেই হুগলির ষষ্ঠীচরণ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা কাজ করছেন। তা নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তারলোচন সিংহ ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি এস মালিককে ট্রাস্টে সদস্য করেছে। এত দিন অম্বিকা সোনি-সহ তিন কংগ্রেস নেতানেত্রী ওই পদে ছিলেন। এ বার কংগ্রেস সভাপতিকেই ট্রাস্ট থেকে বাদ দিতে চায় সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy