শীতকালে যে ধরনের মনখারাপ, বিষণ্ণতাবোধ বা অবসাদ দেখা দেয়, তার আরও একটি গালভরা নাম আছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তা ‘উইন্টার ব্লুজ়’ বলেই পরিচিত। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘সিজ়ন্যাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার’ বা ‘স্যাড’ বলে। আর মনখারাপের সঙ্গে খাবারেরও যোগ নিবিড়। খাবার শুধু শরীরকে পুষ্টিই দেয় না, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খাবার গুরুত্বপূর্ণ। অবসাদে ভুগলে তাই কেবল মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, নজর রাখতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। মনমেজাজ খারাপ হলে অনেকেরই বিরিয়ানি, মিষ্টি কিংবা পিৎজ়া খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়। তবে এই সব খাবার কিন্তু উল্টে আরও বেশি মনখারাপের কারণ হতে পারে। তাই পাতে রাখুন এমন কিছু খাবার, যা আপনার মনকে একটু হলেও তরতাজা রাখে।
কলা: মন ভাল না লাগলে সেই মুহূর্তে একটা কলা খেয়ে নিতে পারেন। মন এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে। কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, যা শরীরে তৎক্ষণাৎ স্ফূর্তি আনে। সেই সঙ্গে রক্ত সচল রাখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে কলা।
রাঙা আলু: মনখারাপের দাওয়াই হতে পারে এই সব্জি। রাঙা আলু হল ‘এল ট্রিপটোফান’ নামে এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিপূর্ণ, যা আপনার মাথা থেকে অবসাদের ভূত নামাতে পারে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে, উদ্বেগ কমাতেও এর জুড়ি নেই। তাই মনখারাপ হলে আলু দিয়ে তৈরি ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস না খেয়ে রাঙা আলু বেক করে খেতে পারেন।
বাদাম: বাদাম খেতে ভালবাসেন? খেতে পারেন কাজু, হ্যাজেল নাট, আখরোট ইত্যাদি বাদাম। প্রত্যেকটিতেই প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন আখরোট খেলে। কারণ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এর জুড়ি নেই। প্রতি দিন একমুঠো আখরোট খেলে অবসাদের প্রবণতা কমবে।
বীজ: রোজ স্যালাড বা স্যুপের সঙ্গে একটু তিসির বীজ আর চিয়া বীজ খেয়ে দেখুন। মনখারাপের সমস্যা অনেকটাই কমবে। এই দুই বীজেও রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। প্রতি দিন ১ টেবিল চামচ করে এই বীজ খেলেই মিলবে উপকার।
ব্লুবেরি: মানসিক নানা সমস্যা দূর করতে ব্লুবেরি খুব উপকারী। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণ মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।শরীর তো বটেই, মন ভাল রাখতে খেতে পারেন ব্লুবেরি।