উনিশের ভোটের আগে নিজের জন্মদিনকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশে একটি মেগা সম্মেলন করতে চলেছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। জানুয়ারি মাসে তাঁর জন্মদিন। ওই দিনটিকে জনকল্যাণকারী দিবস হিসাবে তুলে ধরে গোটা রাজ্যে বিএসপির তৃণমূল স্তরের কর্মীদের চাঙ্গা হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি দল— যেমন এসপি, আরএলডি, জেডি (এস)-র মতো বেশ কিছু আঞ্চলিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ করার কোনও পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত নেই।
দলীয় নেতারা জানাচ্ছেন, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে সমর্থন করে সরকার গড়তে সাহায্য করে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার জেরে উত্তরপ্রদেশেও কংগ্রেসের নেতৃত্বে লড়তে হবে, এমন কোনও সঙ্কেত দিতে চান না মায়াবতী। উনিশের ভোটের ফলাফল পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে চান দু’টি কারণে। এক, তিনি নিজে দেখে নিতে চান, উত্তরপ্রদেশে এসপি-র সঙ্গে দর কষাকষি করে কতগুলি আসনে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ক’টিতে জেতেন তিনি। তাঁর পক্ষে জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার অবস্থায় পৌঁছনো সম্ভব হয় কি না! হাওয়া কোন দিকে যায়! দ্বিতীয়ত, তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে পুরনো দুর্নীতির মামলাকে ফিরিয়ে আনার খাঁড়া ঝুলছে। ফলে সে কারণেও কিছুটা সতর্ক হয়ে চলতে হচ্ছে তাঁকে।
তিন রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি অখিলেশ বা মায়াবতী কেউই। এসপি-র শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কিরণময় নন্দেরও বক্তব্য, ‘‘মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-কে হটানোর জন্য কংগ্রসকে সমর্থন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এমন কোনও বার্তা উত্তরপ্রদেশের মানুষকে দিতে চাই না যে, কংগ্রেসের নেতৃত্বেই এই রাজ্যেও লড়ব। উত্তরপ্রদেশে মূলত আমাদের এবং বিএসপির যৌথ শক্তিতেই লড়াই হবে। এখানে কংগ্রেসের শক্তি নেই।’’
উত্তরপ্রদেশ থেকে লোকসভায় মাত্র দু’টি আসন রয়েছে কংগ্রেসের— অমেঠী এবং রায়বরেলী। সূত্রের খবর, ওই আসন দু’টি এ বারও কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রাখা হবে বলেই স্থির রয়েছে। একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে মোট ৮০টি আসনের মধ্যে এসপি ৩৭টি এবং বিএসপি ৩৮টির মতো আসনে জোট গড়ে লড়বে। তিনটি আসন দেওয়া হবে আরএলডি-কে। তবে এখনও সব আলোচনাই প্রাথমিক। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চিত্রটি স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।