Advertisement
E-Paper

সংসদ সচল রাখতে ঢাল সন্ত্রাস

সন্ত্রাসই ঢাল। শাসকের। বিরোধীরও। দুর্নীতির আবহে হঠাৎ সন্ত্রাসের প্রবেশ। ওমনি ‘৫৬ ইঞ্চির’ বেলুন চুপসে দিতে ফের তেড়েফুঁড়ে আসরে কংগ্রেস। আর শাসক বিজেপি? সন্ত্রাসকে ঢাল করেই এ বারে সংসদ চালাতে মরিয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০২:৫২

সন্ত্রাসই ঢাল। শাসকের। বিরোধীরও।

দুর্নীতির আবহে হঠাৎ সন্ত্রাসের প্রবেশ। ওমনি ‘৫৬ ইঞ্চির’ বেলুন চুপসে দিতে ফের তেড়েফুঁড়ে আসরে কংগ্রেস। আর শাসক বিজেপি? সন্ত্রাসকে ঢাল করেই এ বারে সংসদ চালাতে মরিয়া। যাতে অন্তত অচল সংসদ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে এককাট্টা হয়ে সচল হতে পারে।

পঞ্জাবের হামলা শুরুর ঘণ্টা কয়েক পর কেন্দ্রকেআক্রমণের ক্ষেত্রটি আসলে প্রস্তুত করে দিয়েছিল বিজেপিরই শরিক দল অকালি। নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে কেন্দ্রের গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা তুলে সরব হন সে দলের নেতারাই। ফলে মোদী সরকারের সমালোচনা করতে বেশি কাঠকড় পোড়াতে হয়নি কংগ্রেসকে। দলের কটাক্ষ, গত দশ বছর কেন্দ্রে ‘দুর্বল সরকারের’ জমানায় পঞ্জাবে একটাও সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়নি। কিন্তু এখন মজবুত সরকারের জমানায় পঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পুরোদস্তুর শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে মোদীর জমানায় ভারত-পাক সীমান্তে ৮০০ বার যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করেছে ইসলামাবাদ। সোমবারও একই ঘটনা ঘটেছে জম্মুর এরিনা সেক্টরে।

পঞ্জাবে হামলা নিয়ে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, কেন্দ্রের গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বলছেন। আসলে পঞ্জাব ও কেন্দ্রের সরকার উভয়েই দু’মুখে কথা বলছে। দুই সরকারের ব্যর্থতার কারণেই ফের সন্ত্রাস কবলিত হয়ে পড়েছে পঞ্জাব। কংগ্রেসের অভিযোগ, কেন্দ্রে মোদী সরকার গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক কারণেই জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি এবং তাদের শরিক শাসিত এই দুই রাজ্য। এমনকী, অকালি সরকার খোলাখুলিই খালিস্তানি জঙ্গিদের ফাঁসি মকুবের দাবি করছে। গতকালই খালিস্তানিরা পঞ্জাবে তাদের পতাকা উড়িয়েছে। খারাপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতির কারণেই এই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে।

সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর জবাব, ‘‘যখন সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াই চলছে, সেই সময় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা উচিত নয়।’’ বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির মাধ্যমেই অচল সংসদকে সচল করে তুলতে। গত সপ্তাহের পর আজ লোকসভা তা-ও কিছুটা গতি পেয়েছে। কিন্তু দলের নেতারা মনে করছেন, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সকলে নিশ্চয়ই একজোট হবে। বিজেপির এই কৌশলে আজ কিছুটা স্বস্তি এসেছে তৃণমূল শিবির থেকে। তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, সন্ত্রাস থেকে শুরু করে জমি বিল, দুর্নীতি— সব বিষয়েই আলোচনা হওয়া উচিত।

political mileage terror attack political mileage monsoon session bjp political mileage congress political mileage parliament session
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy