কর্নাটকে সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ এবং ইয়েদুরাপ্পা। ছবি: পিটিআই
বেলা বারোটায় কর্নাটকের ভোটের দিন সরকারি ভাবে ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিজেপি তার জন্য অপেক্ষা করেনি। প্রায় এক ঘণ্টা আগেই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন দলের এক নেতা!
বিজেপির তথ্য-প্রযুক্তি মোর্চার প্রধান অমিত মালব্যর টুইট করেন, কর্নাটকে ভোট হবে ১২ মে। কমিশনের ঘোষণায় হুবহু মিলে গেল দিনটি। তবে অমিত ভোট-গণনার দিনটি বলেছিলেন ১৮ মে। কমিশন জানাল, সেটি ১৫ মে। এর পরেই কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন উঠল, কী করে আগেই ভোটের দিন জেনে গেল বিজেপি? মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাবত তখনই তদন্তের নির্দেশ দিলেন। বললেন, কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
কাল পর্যন্ত বিতর্ক চলছিল ‘নমো অ্যাপ’-এর মাধ্যমে আমজনতার তথ্য চুরির। আজ তার সঙ্গে যোগ হল কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থার গোপন তথ্য চুরি। এত দিন ধরে বিরোধীরা বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশের অভিযোগ তুলছিল। আজ ‘হাতেনাতে’ প্রমাণ পেয়ে কংগ্রেস অভিযোগ তুলল, ‘‘বিজেপি এখন ‘সুপার নির্বাচন কমিশন’! কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতাই এখন পরীক্ষার মুখে।’’ টুইটে সরব হলেন রাহুল গাঁধীও।
চাপে পড়ে মুখতার আব্বাস নকভি-সহ বিজেপি নেতারা তড়িঘড়ি ছুটলেন কমিশনে। বলে এলেন, কমিশনের গুরুত্ব খাটো করার কোনও অভিপ্রায় নেই দলের। অমিত মালব্যও কমিশনকে চিঠি লিখে দাবি করলেন, টিভি দেখেই তিনি খবরটি দিয়েছিলেন। রাজ্য কংগ্রেসের এক নেতাও একই ভাবে টুইটারে আগাম ভোটের দিন ঘোষণা করেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, কর্নাটকের এক স্থানীয় চ্যানেল আর জাতীয় স্তরে যে চ্যানেলে এই খবর কমিশনের ঘোষণার আগেই প্রচারিত হয়েছে, সেগুলি বিজেপি-ঘনিষ্ঠ। যার অর্থ, বিজেপির কাছে এ নিয়ে আগেই খবর ছিল। সে কারণেই বিতর্কের পরে নিজের টুইট মুছে দেন অমিত মালব্য।
বিজেপি আগে ভোট এগোনোর পক্ষে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি লিঙ্গায়ত তাস খেলে রাহুল কর্নাটকে বিপাকে ফেলেছেন অমিত শাহদের। এখন ভোট পিছোলেই লাভ বিজেপির। এই অবস্থায় মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট বিজেপির সুবিধা করে দেবে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। কংগ্রেসের বক্তব্য, এ সবে স্পষ্ট, কমিশন বিজেপির ইশারাতেই চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy