দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হল। শুক্রবার তার উদ্বোধন করেন মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি বনথি শ্রীনিবাসন। দলের দাবি, কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি নজির তৈরি করল শুক্রবার। উদ্বোধনের ছবি টুইট করে শ্রীনিবাসন উল্লেখ করেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার কী ভাবে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এ নিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি যে মহিলাদের সম্মান করে, এটা তার একটা বড় নজির। শুধু মুখে না বলে কাজে করে দেখিয়েছি আমরা। দেবীপক্ষে গোটা দেশে নারীর প্রতি সম্মানের এক নজির তৈরি করল।’’ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সদর দফতরের ওই যন্ত্র থেকে মহিলারা বিনামূল্যে ন্যাপকিন পাবেন।
মোদীর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর গোটা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয় বিজেপি। তার মধ্যে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলির কর্মসূচিও ছিল। তার আগে ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই মোদী গোটা দেশে এক টাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন চালুর ঘোষণা করেছিলেন। লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘এই সরকার সব সময়ই আমাদের দেশের মেয়ে ও বোনেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। এ বার তাই ছ’হাজার জনঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৫ কোটি মহিলার হাতে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হবে স্যানিটারি প্যাড।’’ সেই সময়ে মোদীর এই ঘোষণা নিয়ে বিজেপি প্রচারে নেমেছিল।
Inaugurated Sanitary Vending Machine at @BJP4India HQ, Delhi in presence of @BJPMahilaMorcha leaders.
— Vanathi Srinivasan (@VanathiBJP) October 8, 2021
Awareness and affordable access to sanitary napkins is a big step by govt to empower women and keep their health in check.#HealthyWomenHealthyBharat @blsanthosh pic.twitter.com/ePsdkTNOWI
শুক্রবার দিল্লির বিজেপি দফতরে স্যানিটারি যন্ত্র বসানো নিয়ে লকেট আরও বলেন, ‘‘ঋতুস্রাবের মতো স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে আজও সমাজের বড় অংশের মধ্যে লজ্জা রয়েছে। স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে কর্মরতার আচমকা ঋতুস্রাব শুরু হলে বা ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে প্যাড বদল সংক্রান্ত অস্বস্তি তৈরি হয়। এটি যে একেবারেই একটি প্রাকৃতিক বিষয়, তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। কেন্দ্র যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সামাজিক ট্যাবু রোখা যাবে। মোদিজির উদ্যোগে ইতিমধ্যেই জনঔষধি প্রকল্পের মাধ্যমে ১ টাকায় স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা হয়েছে।”