—প্রতীকী ছবি।
আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকারের শীর্ষকর্তারা বলছেন, তার সম্ভাবনা নেই। মোদী সরকারের এক শীর্ষব্যক্তির মন্তব্য, ‘‘মোদীর আমলে কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও এক দিনের জন্য এগিয়ে আনা হয়নি। এখনও পর্যন্ত লোকসভা ভোটও এগিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই।’’
সোমবার মেয়ো রোডের জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে লোকসভা নির্বাচন করানো হতে পারে। এ বিষয়ে বিজেপিকে বিশ্বাস নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এখন থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব হেলিকপ্টার ভাড়া করে রাখছেন বলেও মমতা দাবি করেছিলেন। মঙ্গলবার একই কথা বলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লোকসভা ভোট আগেভাগে হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন করাতে পারে। গত সাত-আট মাস ধরে আমি এই কথাটা বলছি। তাই আমাদের এককাট্টা থাকতে হবে।’’
বিরোধী শিবিরের ইন্ডিয়া জোটের দুই প্রধান মুখ লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও মোদী সরকারের তরফে ইঙ্গিত মিলছে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে নানা রকম সরকারি কর্মসূচি চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধন হবে। তার পরে ধূমধাম করে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালন হবে। জানুয়ারির শেষে প্রাক্-নির্বাচনী বাজেট পেশ হবে। প্রত্যাশিত ভাবেই বাজেট ভোটমুখী হবে। তার পরে আরও কিছু চমক বাকি থাকবে। আমাদের কোনও তাড়াহুড়ো নেই।’’
২০১৯-এ লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে— সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়ে ২৩ মে ফল ঘোষণা হয়েছিল। মমতা ও নীতীশ, দু’জনেই এর আগেও লোকসভা ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। নীতীশ তাঁর সরকারের আমলাদের দ্রুত কাজ শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। মোদী সরকারের কর্তাব্যক্তিদের পাল্টা যুক্তি, চলতি বছরের নভেম্বরে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিজেপি এই রাজ্যগুলিতে দুর্দান্ত ফল করবে, এমন সম্ভাবনা কম। তাই এই রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পরে পরেই লোকসভা নির্বাচন ডাকার কোনও রাজনৈতিক যুক্তিও নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy