পুজোই পরেই ভোট বিহারে। কিন্তু শরিক-দাবি মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি।
শরিক দলগুলির আসন সংক্রান্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করতে আজ দুপুরে অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকে বসেন বিহার বিজেপির নেতারা। জাতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিহার বিজেপির সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ, বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিনোদ তাউড়েরা। বৈঠকে রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রার বিহারবাসীর মধ্যে কতটা প্রভাব পড়ল, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রের মতে বৈঠকে প্রতিটি লোকসভা ও সেই লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে দলের পরিস্থিতি কেমন রয়েছে, তারও একটি সবিস্তার বিবরণ অমিত শাহের সামনে তুলে ধরেছেন বিহারের নেতারা।
বৈঠকের শেষে দিলীপ জায়সওয়াল বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে প্রতিটি বিধানসভায় এনডিএ-র কর্মী সম্মেলন চলছে। যা আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের সমস্ত খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার জন্য একটি নির্বাচনী কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলাভিত্তিক কোর-কমিটি গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। যারা প্রতিটি কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। যার ভিত্তিতে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে তা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হবে। যার ভিত্তিতে প্রার্থী বেছে নেবে দল।
কিন্তু বিজেপিকে মূলত চিন্তায় রেখেছে আসন নিয়ে শরিকদের অনড় মনোভাব। ২৪৩ আসনের বিহারে জেডিইউয়ের শক্তি ক্রমশ হ্রাস পেলেও, ন্যূনতম একশোটি আসনে যে তাঁর দল লড়বে, তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন নীতীশ কুমার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শরিক ‘হাম’ দলের নেতা জীতনরাম মাঝির দাবি, অন্তত ৩০-৩৫টি আসন। তাঁর কথায়, ‘‘নতুন বিধানসভায় অন্তত কুড়ি জন বিধায়ক নিশ্চিত করা দলের লক্ষ্য।’’
বিজেপিকে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চাপে রেখেছেন এলজেপি দলের রামবিলাস পাসোয়ান পুত্র চিরাগ। তাঁর দাবি অন্তত ৪০টি আসন। বিজেপি সূত্রের মতে, অন্তত পঁচিশটি আসনে জিতে নিজেকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন চিরাগ। ওই দাবি মানলে বিজেপির হাতে পরে থাকে মাত্র ৭০টির আসন। কিন্তু দল নীতীশের মতোই অন্তত ১০০টি আসনে লড়ার পক্ষপাতী। যাতে ওই রাজ্যে আসন প্রাপ্তির নিরিখে এনডিএ-তে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হতে পারে বিজেপি। কারণ, অমিত শাহেরা ভালই জানেন, একমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলে তবেই, নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করেও রাজ্যের ক্ষমতা হাতে রাখা সম্ভব হবে। ফলে কোনও সমীকরণে এখন বিরোধীদের সামলানো যায়, সেই সমাধান সূত্রের খোঁজেই মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)