মধ্যপ্রদেশ-কর্নাটকের মতো ঝাড়খণ্ডে ‘অপারেশন কমল’-এর চেষ্টা করছে বিজেপি। তার জন্য কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে হেমন্ত সোরেন-কংগ্রেসের জোট সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই বিপদসঙ্কেত পেয়ে আজ দিল্লিতে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের ডেকে পাঠিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির জয়ের পরেই জেএমএম-কংগ্রেস জোট রাঁচীর গদি থেকে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এবার বিজেপি সেই রাজ্যে কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে সরকার গড়ে ফেললে কর্নাটক-মধ্যপ্রদেশের মতো ফের কংগ্রেস হাই কমান্ডকে অস্বস্তিতে পড়তে হবে।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগেই কংগ্রেস নেতা আরপিএন সিংহ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন এআইসিসি-তে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। কংগ্রেসের আশঙ্কা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যেভাবে বিজেপিতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে কমল নাথ সরকারকে গদিচ্যুত করেছিলেন, একই ভাবে আরপিএন নিজের কার্যকারিতা প্রমাণে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কংগ্রেসের অন্তত দশজন বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি যোগাযোগ রাখছে। বিজেপি সরকার গড়লে তাঁদের মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের ৮১ আসনের বিধানসভায় জেএমএম-এর নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের কাছে ৫১জন বিধায়ক রয়েছে। বিজেপি ও শরিক দলগুলির কাছে রয়েছে ৩০ জন বিধায়ক।
দিল্লিতে আজ কংগ্রেসের ওয়ার রুমে এআইসিসি-র নেতা অবিনাশ পাণ্ডে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের বিধায়কেরা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, সোরেন কংগ্রেস বিধায়কদের কোণঠাসা করে রেখেছেন। শরিক দলের কথা তিনি কানে তোলেন না। কংগ্রেসের ১৮ জন বিধায়কের মধ্যে চারজন মন্ত্রী হয়েছেন। ওই চারজনের উপরেও আবার বাকি বিধায়কেরা ক্ষুব্ধ। হেমন্ত সোরেনের নিজের দলের বেশ কিছু বিধায়ক— এমনকি, তাঁর বৌদি সীতা সোরেনও ক্ষুব্ধ। বিজেপি শিবির থেকে তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।