নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।
বাংলায় ভোট বাড়াতে এ বার অনাবাসী বাঙালিদেরও কাছে টানছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসন পেয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল। আর দু’বছর পরে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে অনাবাসী বাঙালিদেরও দ্বারস্থ হচ্ছে দল। বিজেপি সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ সম্প্রতি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশে বসবাসকারী বাঙালিদের সঙ্গে এক প্রস্ত আলোচনা করেছেন। বাংলায় ‘পরিবর্তন’-এর জন্য তাঁদের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
দিল্লিতে বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘গত সোমবার রাতে দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে অনাবাসী বাঙালিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করেন শিবপ্রকাশ। তিনি জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই প্রশান্ত কিশোরদের নিয়ে আসুন, কোনও লাভ হবে না। গত লোকসভা ভোটেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বাংলায় পরিবর্তন হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতা দখলের জন্য
অনাবাসীরা কী ভূমিকা পালন করতে পারেন, তা নিয়ে কথা হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে।’’
বিজেপি সূত্রের মতে, এই আলাপচারিতা আয়োজন করেন কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক অনাবাসী। আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে দেবল গুপ্ত, দুবাই থেকে সূর্যসেন গোস্বামী, অস্ট্রেলিয়ার প্রবাল চক্রবর্তীরা শামিল হন তাতে। পারিবারিক সূত্রে এঁদের অনেকের সঙ্গে আরএসএসের যোগ রয়েছে। কয়েক জন এখনই বাংলায় গিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন, গ্রাম দত্তকও নিতে চাইছেন। সকলের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বিজেপি শীঘ্রই আর এক দফা বৈঠক করবে। তবে শুধু বাঙালি নয়, অবাঙালিদেরও বাংলার কাজে ব্যবহার করতে চাইছে মোদীর দল।
মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও যখনই বিদেশে গিয়েছেন, অনাবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় গিয়েও অনাবাসী ও প্রবাসীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করবেন তিনি। ‘হাওডি মোদী’ নামের সেই অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ হাজার দর্শক শুনবেন মোদীর কথা।
সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভার নির্বাচনেও অনাবাসীদের ভারতে এনে ভোটের কাজে ব্যবহার করেছে বিজেপি। ভোটের সময় শুধু গুজরাতেই কুড়িটি দেশ থেকে শ’তিনেক অনাবাসী এসেছিলেন। তাঁদের অনেকের কাজ ছিল, বন্ধু ও পরিচিতদের রোজ ফোন করে মোদীকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো। তাঁদের দিয়ে বাকিদের উপরেও প্রভাব বিস্তার করা। বাংলাতেও সেই পথে হাঁটার তোড়জোড় চালাচ্ছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy