গুজরাতের ক্ষত এখনও টাটকা। তামিলনাড়ুতেও ভরাডুবি হল বিজেপির। এতটাই, যে ‘নোটা’-য় পড়া ভোটেরও অর্ধেক পেয়ে জামানত জব্দ হল দলের।
বিজেপির পক্ষে অবশ্য সান্ত্বনা পুরস্কার জুটেছে উত্তরপ্রদেশ আর অরুণাচলে। কিন্তু সরকার থাকা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশে জয়ের ব্যবধান কমল প্রায় ২৭ হাজার। আর অরুণাচলের দু’টি কেন্দ্রে পাঁচশোর কম ব্যবধানে জয় এসেছে বিজেপির ঝুলিতে। সব মিলিয়ে চার রাজ্যের পাঁচ উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুতে জয় মেলেনি। বাকি তিনটিতে জিততে বেশ কসরত করতে হল বিজেপিকে।
কিন্তু গুজরাতে জিতেও যে বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে, আজ তার প্রমাণ মিলল অমিত শাহের কথায়। বিজেপি সভাপতি বললেন, ‘‘গুজরাত-হিমাচলের পর পাঁচ আসনে তিনটিতে দলের জয় হয়েছে। আশা করি কংগ্রেস নেতারা আজকেও ‘নৈতিক জয়’-এর দাবি করবেন না।’’ আসরে নামলেন মোদীও। পশ্চিমবঙ্গে দলের ভাল ভোট মেলার পাশাপাশি তিন আসনে জেতাকে বড় করে দেখালেন।
কিন্তু উভয়ের কেউই তামিলনাড়ু নিয়ে টুঁ শব্দ করলেন না। আর দু’জনেই মেলে ধরলেন উত্তরপ্রদেশের গ্রামীণ কেন্দ্র সিকান্দ্রার ‘সাফল্য’কে। কারণ নিজেদের রাজ্য গুজরাতে গ্রামেই বড়সড় হোঁচট খেতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। সমাজবাদী পার্টি আর কংগ্রেস আলাদা না-লড়লে আসনটি বিজেপি পেতই না। মোদী বললেন, ‘‘সিকান্দ্রার জয় গ্রামের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার নিদর্শন।’’ অমিতও শোনালেন গ্রামে কৃষকদের মধ্যে বিজেপির সমর্থনের কথা।
আজকের ফলে কংগ্রেসের সাফল্য তেমন নেই। কিন্তু দলের নেতারা বলছেন, এই তামিলনাড়ুতেই জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ শশিকলাকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে দূরে রেখে এডিএমকে-র বিবদমান দুই গোষ্ঠীকে এক ছাতায় নিয়ে আসতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মোদী-শাহ। ভোটের ফলে দেখা গেল, সেই চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর মোদীর ‘জাদু’ যে কতটা, তা স্পষ্ট ‘নোটা’-র থেকেও পিছিয়ে থাকায়। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও আজ প্রশ্ন তুলেছেন, কোথায় গেল দায়বদ্ধতা?