১০ বছর আগে বিধানসভার কক্ষ থেকে তাঁকে পাঁজাকোলা করে বার করা হয়েছিল। ১০ বছর পরে তিনিই ফিরছেন বিধানসভার স্পিকার পদে।
সাল ২০১৫। তখন দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার। বিরোধী আসনে বিজেপি। আপ বিধায়ক অলকা লাম্বা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিধায়ক ওপি শর্মার বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনাকে ঘিরেই ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি বিধানসভা।
শাসকদল আপ এবং বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে প্রায় হাতাহাতি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই সময় স্পিকার ছিলেন রামনিবাস গোয়েল। তিনি বিজেপি বিধায়ক বিজেন্দ্র গুপ্তকে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিজেন্দ্র কক্ষত্যাগ করতে অস্বীকার করায় তাঁকে মার্শাল দিয়ে রীতিমতো পাঁজাকোলা করে বিধানসভার বাইরে বার করে দেওয়া হয়। আপের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে স্পিকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিজেন্দ্র।
আপ বিধায়ক অলকার প্রতি বিরূপ মন্তব্য ঘিরে যখন শাসকদলের তরফে বিজেপি বিধায়কদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলা হয়। সংশ্লিষ্ট বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানান। সেই ঘটনাকে ঘিরে পাল্টা সরব হয় বিরোধী দল বিজেপি। বিধায়ক বিজেন্দ্র পাল্টা দাবি করেন, তাঁদের তিন বিধায়ককে শাসকদলের বিধায়কেরা হেনস্থা, মারধর করেছেন। তার পরেও স্পিকার কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। দু’দলের বিধায়কদের হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ বিজেন্দ্রকে পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বার করে দেওয়া হয়।
তার পর কেটে গিয়েছে ১০ বছর। দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। ২০১৫ সাল থেকে দিল্লির রোহিণী আসন জিতে আসছেন বিজেন্দ্র। এ বার তাঁকেই বিধানসভার স্পিকার করা হবে বলে সূত্রের খবর। স্পিকার হিসাবে মনোনয়নের পর থেকেই বিজেন্দ্রের ১০ বছর আগের বিধানসভার ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। আর তাতেই বিজেপির অনেকে বলছেন, সময়ের চাকা ঘুরছে। যে বিধায়ককে বিধানসভা থেকে পাঁজাকোলা করে বার করে দিয়েছিলেন স্পিকার, এ বার সেই বিজেন্দ্রই ফিরছেন স্পিকারের পদে।