প্রতীকী ছবি।
কোমর ভাঙা সংগঠন নিয়েও কংগ্রেস ও তার যুব মোর্চা কোভিডের সময় মাঠে-ময়দানে নেমে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছে। কিন্তু নিজেদের বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বলে দাবি করা বিজেপির নেতা-কর্মীদের কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মানুষের পাশে দেখা যায়নি। অনেক বিজেপি নেতানেত্রী যদিও কয়েক জনকে সাহায্য করেছেন, কিন্তু তেমন ভাবে তা প্রচারের আলোয় আসেনি। আজ বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার বাসভবনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, চলতি বছরের শেষে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এ দেশে ধাক্কা দিলে বিজেপির নেতা-কর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে। দু’দিনের এই বৈঠক রবিবারও চলবে। বিজেপি সূত্রের খবর, রবিবারই পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফলাফল ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সেই বৈঠকে থাকবেন। ভোটের পরে আর এক সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘকেও বাংলায় পাঠানো হয়েছিল। তিনিও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন। রাজ্যের দায়িত্বে রদবদল হলে এর পর বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে তা নিয়ে আলোচনা হবে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে এই প্রথম বিজেপির শীর্ষনেতারা সশরীরে বৈঠক করলেন। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত বৈঠকের পরে নড্ডা ও সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান। সারা দিনের বৈঠকের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়।
এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটে বিপর্যয় বিজেপির অন্দরমহলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার পরেই কোভিডের মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতৃত্বের দুশ্চিন্তার কারণ হল, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, গোয়া, মণিপুর ও গুজরাতে বিধানসভা ভোট। এর মধ্যে পঞ্জাব ছাড়া সর্বত্রই বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। বছরের শেষে কোভিডের তৃতীয় ঢেউও সামলাতে না পারলে ভোটারদের মনে টাটকা স্মৃতি থেকে যাবে। দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা, পঞ্জাবে অকালিদের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ায় এমনিতেই বিজেপি সেই রাজ্য নিয়ে আশায় নেই। উত্তরাখণ্ড, হিমাচলেও বিজেপির পরিস্থিতি সুখকর নয়। উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত, দুই রাজ্যেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোভিড মোকাবিলায় চূড়ান্ত ব্যর্থতার অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy