অসম দখলের পর বিজেপি এ বার তিনটি লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইছে। প্রথমত, গুয়াহাটি পুরসভা দখল করতে কোমর কষে নামছে তারা। পাশাপাশি জিততে চাইছে ইম্ফলের পুরভোট। এ দিকে, অরুণাচল প্রদেশে বিজেপি সমর্থিত সরকার চলছে। প্রদেশ বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই রাজ্যে পুরোপুরি বিজেপি সরকারই আসতে চলেছে। পুর ভোটে বিজেপি ভাল করলেও সামান্য এগিয়ে থেকে গুয়াহাটি পুরবোর্ড দখল করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু আজ কংগ্রেসের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন ডেপুটি মেয়র নীলাক্ষী তালুকদার। তিনি বিজেপি যোগ দিতে পারেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের আরও চারজন কাউন্সিলারের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। বর্তমান পুরবোর্ডে কংগ্রেসের ১৫ জন ও বিজেপির ১৪ জন সদস্য রয়েছেন।
এরই পাশাপাশি, আগামী ২ জুন ইম্ফলে পুরভোট। ২৭টি আসনের মধ্যে ২৬টিতেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। গত ১৫ বছর ধরে ইম্ফলের পুর বোর্ড কংগ্রেসের দুর্গ। এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দেওয়াই শুধু নয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ক্ষেত্রীমায়ুম ভবানন্দের দাবি, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা-সহ পুরবোর্ড দখল করবেন তাঁরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি টি এন হাওকিপ অবশ্য দাবি উড়িয়ে বলেন, ‘‘অসম ভোটের কোনও প্রভাব ইম্ফলের পুরভোটে পড়বে না। গত দেড় দশকে কংগ্রেস কত কাজ করেছে তা মানুষ দেখেছেন।’’
ইম্ফল পুরভোটে তিনটি মূল ইস্যু হল: খাদ্য সুরক্ষার চালের কালোবাজারি, শহর থেকে বহিরগাতদের খুঁজে বের করে রাজ্যছাড়া করা ও ইনারলাইন পারমিট চালু করার দাবিতে চলতে থাকা আন্দোলন। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সংগঠনগুলির দাবি, তিনটি ওয়ার্ডে এখনও অনেক বহিরাগত রয়েছেন। তাঁদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না। এখানে মোট ভোটার ১,৭৫,৮৬৪ জন। প্রার্থীর সংখ্যা ৮৬।
অন্য দিকে, অরুণাচল প্রদেশে নাবাম টুকির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের হাত থেকে বিজেপির মদতে সরকার দখল করেন প্রাক্তন কংগ্রেসী কালিখো পুল। আপাতত পিপলস পার্টি অফ অরুণাচল নামে সরকার চালালেও বিজেপিই সেই সরকারের মূল চালিকাশক্তি। অসম জয়ের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তাপির গাও জানান অরুণাচলে পুরোপুরি বিজেপির সরকার গড়া আপাতত সময়ের অপেক্ষামাত্র। তিনি বলেন, ‘‘শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্যেই সরকার গড়বে না বিজেপি। তৃণমূলস্তর থেকে রাজ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে এ রাজ্যে।’’
মৎস্য দফতরের অভিযান। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা না মেনে পোনা ও ডিমযুক্ত মাছ ধরা চলছে। সেই খবর পেয়ে অভিযানে নেমেছে হাইলাকান্দি প্রশাসন। জেলার মৎস্য বিভাগ একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে ওই সব মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পোনা এবং ডিমযুক্ত মাছ বাজেয়াপ্ত করেছেন। পোনা ও ডিমযুক্ত মাছ না ধরতে হাইলাকান্দির জেলাশাসক আগেই নির্দেশ জারি করেছিলেন। তা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তিন দিন ধরে অভিযান চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy