Advertisement
E-Paper

গ্রামীণ ওড়িশায় পদ্ম-কাঁটায় বিদ্ধ বিজেডি

ওড়িশার গ্রামে নিজেদের পায়ের তলার মাটি অনেকটাই শক্ত করল বিজেপি। সে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল গেরুয়া শিবির। শাসক বিজু জনতা দল (বিজেডি) প্রথম স্থানটি ধরে রাখতে পারলেও পদ্ম-কাঁটার খিঁচখিঁচানি রয়েই গেল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩০

ওড়িশার গ্রামে নিজেদের পায়ের তলার মাটি অনেকটাই শক্ত করল বিজেপি। সে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল গেরুয়া শিবির। শাসক বিজু জনতা দল (বিজেডি) প্রথম স্থানটি ধরে রাখতে পারলেও পদ্ম-কাঁটার খিঁচখিঁচানি রয়েই গেল।

নোট বাতিলের পর গ্রামাঞ্চলে এটাই ছিল প্রথম ভোট। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল বিজেডি এবং কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন এই দুই দলের নেতারা। কিন্তু তার কোনও প্রভাব যে ওড়িশার পঞ্চায়েত ভোটে পড়েনি, ফলপ্রকাশের পর তা স্পষ্ট। ভোট হয়েছে ৩০টি জেলা পরিষদের ৮৫১টি আসনে। ফল বেরিয়েছে ৮৫০টির। তার মধ্যে বিজেডি পেয়েছে ৪৫৯টি আসন। বিজেপির দখলে গিয়েছে ৩০৭টি আসন। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ৬৭টি আসন পেয়ে নেমে এল তৃতীয় স্থানে। অন্যান্যরা ১৭টি আসন পেয়েছে। আর এই সাফল্যের উপর ভিত্তি করে ওড়িশায় বিজেডির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে বলে প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতারা।

আরও পড়ুন: মেরুকরণ উস্কে ‘কসাব’ বর্ণমালা

২০১২ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেডি পেয়েছিল ৬৫১টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ১২৮টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৩৬টি আসন। আর এ বারে গত বারের তুলনায় ২৭১টি আসন বেশি পেয়েছে মোদীর দল! ৩০টি জেলা পরিষদের মধ্যে এ বার বিজেডি পেয়েছে ১৬টি। গত বার তাদের দখলে ছিল ২৮টি। কংগ্রেসের দখলে ছিল দু’টি জেলা পরিষদ। এ বার পেয়েছে একটি। ২০১২ সালে বিজেপি কোনও জেলা পরিষদ দখল করতে পারেনি। এ বার তারা পেয়েছে ৮টি।

কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, ভোটে জিততে প্রচুর টাকা ছড়িয়েছে বিজেপি। ওড়িশায় এআইসিসি পর্যবেক্ষক শুভঙ্কর সরকারের দাবি, ‘‘নোট বাতিলের ফলে অন্য দলগুলি যখন নগদের অভাবে ভুগছিল, তখন বিজেপি নিজের কালো টাকা গুছিয়ে রেখেছিল। প্রতিটি জেলা পরিষদ আসনে ২০ লক্ষ টাকা করে খরচ করা হয়েছে।’’

বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগে কান দিতে নারাজ। উচ্ছ্বসিত বিজেপি নেতাদের দাবি, এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা এবং তাঁর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। এই ভোটে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ১৭ বছরের অপশাসনেরও জবাব দিয়েছে মানুষ। ওড়িশায় বিজেপির পর্যবেক্ষক অরুণ সিংহের অভিযোগ, ‘‘ফল আরও ভাল হতো। কিন্তু হিংসা চালিয়ে ভোট ঠিকঠাক হতে দেয়নি বিজেডি। নবীন পট্টনায়কের বিধানসভা এলাকাতেই বিজেপি কর্মী বুল্লু প্রধান খুন হয়েছেন।’’

বস্তুত পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন হিংসা নিয়ে ওড়িশা বিধানসভায় সরব হন কংগ্রেস-বিজেপি বিধায়করা।

আর সব দেখেশুনে বিজেডি কী বলছে? দলের জনপ্রতিনিধিদের নবীন পট্টনায়ক বলেছেন, ‘‘ভেঙে পড়ার কিছু নেই। তবে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।’’

BJD BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy