মোরবীতে পুরনো বিধায়কের উপরই ভরসা রাখতে চাইছে বিজেপি। ফাইল চিত্র।
গুজরাতের মোরবীতে মাচ্ছু নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার দিনে তাঁকে অনেকেই ‘ত্রাতা’র ভূমিকায় দেখেছিলেন। কিছু ভিডিয়োতে দেখা যায় মোরবীরই প্রাক্তন বিধায়ক, ৬০ বছরের কান্তিলাল অম্রুতিয়া লাইফ জ্যাকেট পরে নদীতে নেমে আহতদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসছেন। আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে স্থানীয় মানুষদের অনেকেই পরে জানান, কান্তিলাল না থাকলে দুঘর্টনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। বিজেপিরই প্রাক্তন বিধায়ক কান্তিলালকে এ বার মোরবী বিধানসভা আসন থেকে টিকিট দিয়ছে পদ্ম-শিবির। মোরবীর বিদায়ী বিধায়ক ব্রিজেশ মার্জাকে এ বার টিকিট দেয়নি দল।
বিজেপির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গুজরাতের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি যে খসড়া প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে কান্তিলালের নাম ছিল না। তবে সেতু বিপর্যয়ের দিন কান্তিলালের সাহসিকতা এবং সংবেদনশীলতার খবর চার দিকে ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি।
প্রসঙ্গত, গুজরাতের মোরবীতে মাচ্ছু নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় সরকারি হিসাবে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঝুলন্ত সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল গুজরাটের সংস্থা ‘অরেভা’- যারা ঘড়ি, ই-বাইক, এলইডি আলো তৈরিতে প্রসিদ্ধ হলেও সেতু নির্মাণ এবং সংস্কারের পূর্ব কোনও অভিজ্ঞতা নেই।
প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে টানা ২২ বছর ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু সে রাজ্যে নির্বাচনের মুখে এই সেতু বিপর্যয় বিজেপিকে অস্বস্তিতে রেখেছে। সেতু বন্ধ রেখে সংস্কারের কাজ করা হলেও এত বড় বিপদ ঘটে গেল কী করে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ সবের প্রেক্ষিতেই ‘পরোপকারী’ হিসাবে খ্যাতি পেয়ে যাওয়া কান্তিলালকে মোরবী থেকে দাঁড় করিয়ে সেতুভঙ্গের ক্ষত মুছতে চাইছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy