Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইস্! ১৫টা দিন সময় পেলে... আক্ষেপ অমিতের

অমিত শাহের যুক্তি— ‘‘১৫টা দিন সময় পেলে ঘুরে যেত ছবিটা।’’ রাজ্যপাল বজুভাই বালা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৫ দিনই সময় দিয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পাকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই সময়সীমা এক ধাক্কায় কমে তিন দিনে দাঁড়ায়। কংগ্রেসের দাবি, ১৫টা দিনে বিধায়ক কেনার সময় পেয়ে যেত বিজেপি!

সংবর্ধনা: উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোট নেডা-র মঞ্চে অমিত শাহের সঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ছবি: পীতাম্বর নেয়ার।

সংবর্ধনা: উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোট নেডা-র মঞ্চে অমিত শাহের সঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ছবি: পীতাম্বর নেয়ার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ০৩:৫৮
Share: Save:

গত তিন দিন ধরে ভিড়ে গিজগিজ করছিল বেঙ্গালুরুর ডলারস কলোনির তেতলা বাড়িটি। আজ খাঁ খাঁ।

বাড়ি থেকে একাই প্রাতর্ভ্রমণে বেরোলেন ৭৫ বছরের প্রবীণ রাজনীতিক, কাল বিকেল পর্যন্ত যিনি ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। বুকানাকেরে সিদ্দালিঙ্গাপ্পা ইয়েদুরাপ্পা।

‘সসম্মানে সরে দাঁড়ান’— দিল্লি থেকে বার্তা যাওয়ার পরে ইস্তফা দিয়েছেন গত কালই। অথচ সরকার গড়তে বিজেপি নেতারা বিরোধীদের টোপ দিয়েছিলেন বলে ‘প্রমাণ’ও দিচ্ছে কংগ্রেস ও জেডি (এস)। কিন্তু এত চেষ্টার পরেও কী করে হার মানতে হল নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সেনাপতি অমিত শাহকে?

অমিত শাহের যুক্তি— ‘‘১৫টা দিন সময় পেলে ঘুরে যেত ছবিটা।’’ রাজ্যপাল বজুভাই বালা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৫ দিনই সময় দিয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পাকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই সময়সীমা এক ধাক্কায় কমে তিন দিনে দাঁড়ায়। কংগ্রেসের দাবি, ১৫টা দিনে বিধায়ক কেনার সময় পেয়ে যেত বিজেপি!

আরও পড়ুন: দিল্লি যাচ্ছেন কুমারস্বামী, মন্ত্রী কারা, আজ কথা

শনিবার রাতে একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ অবশ্য বলছেন, ‘‘তিন দিন ধরে কংগ্রেস বলে আসছে ঘোড়া কেনাবেচা হচ্ছে। সেটা হলে কী এই পরিণাম হয়? আর কংগ্রেস তো গোটা আস্তাবল কিনে ফেলেছে!’’

হতাশা অমিতের গলায়। কিন্তু প্রশ্ন হল, ১৫ দিন সময় পেলে কী ভাবে ছবিটা বদলাত?

অমিত বলছেন, ‘‘ঘোড়া কেনা বাজে কথা। বন্দি বিধায়কেরা নিজেদের কেন্দ্রে যেতে পারলেই বুঝতেন কংগ্রেস ও জেডি (এস)-এর অপবিত্র জোট জনতা মেনে নিচ্ছেন না।’’ শাহের দাবি, সেটা দেখে বিধায়কদেরও মন বদলাত। ইয়েদুরাপ্পা অবশ্য বলছেন, ‘‘বিপক্ষের বিধায়ক না-ভাঙালে সংখ্যা মিলবে কী করে!’’

অমিত শাহের কথা শুনে মুচকি হাসছেন কংগ্রেস নেতারা। এক নেতার কথায়, ‘‘কর্নাটকের ঘটনায় স্পষ্ট হল— এক, নরেন্দ্র মোদী অপ্রতিরোধ্য নন। দুই, অমিত শাহও আর চাণক্য নন। ইয়েদুরাপ্পারা ফোন করে বিধায়কদের কী ভাবে অর্থ ও পদের টোপ দিয়েছেন, তা রেকর্ডবন্দি হয়েছে।’’ ওই নেতার কথায়, তাঁদের বিধায়কেরা একজোট থাকাতেই ভেস্তে গিয়েছে বিজেপির কৌশল। তাই হতাশ অমিত শাহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE