মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় এ বার বম্বে হাই কোর্টের নোটিস পেলেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত-সহ নিম্ন আদালতের রায়ে মুক্ত সাত অভিযুক্ত। নোটিস পাঠানো হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কেও। সাধ্বীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়েরের জন্য বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সদস্যেরা যে আবেদন জানিয়েছিলেন, সেই মামলাও গ্রহণ করেছে বম্বে হাই কোর্ট।
গত ৩১ জুলাই মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত সাত অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছিল। তারই বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে এক বিস্ফোরণে সাত জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন একশোরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি মোটরসাইকেলে দু’টি বোমা রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। তদন্তে উঠে আসে যে ঘটনার নেপথ্যে ছিল একটি একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার হন প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিত।
২০১১ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে যায়। তার পর আদালতে একাধিক চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট জমা পড়ে। ২০১৮ সালে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। বিচার চলার সময়ে আদালত ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান খতিয়ে দেখেছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশেষ আদালতে কয়েকশো পাতার তথ্যপ্রমাণ পেশ করে এনআইএ। ১৯ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। অন্য দিকে, বিতর্কিত প্রজ্ঞাকে ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তিনিও জয়ী হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে অবশ্য তাঁকে আর প্রার্থী করেনি পদ্মশিবির। গত ৩১ জুলাই প্রজ্ঞাদের মুক্তির দিয়ে বিচারক জানিয়েছিলেন, ফরেন্সিক পরীক্ষায় বাইকটি যে প্রজ্ঞার, তা প্রমাণিত হয়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, প্রজ্ঞা বিস্ফোরণের ঘটনার দু’বছর আগেই সন্ন্যাস গ্রহণ করে সাধ্বী হয়ে গিয়েছিলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)