তিনি এবং তাঁর পরিবার নিরাপদ বোধ করছেন না। খুব আতঙ্কে আছেন। প্রেমিক অশ্বজিৎ গায়কোয়াড়ের বন্ধুরা হাসপাতালে আসছেন, বোনকে শাসাচ্ছেন মামলা তোলার জন্য। একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই দাবি করেছেন প্রিয়া সিংহ। মহারাষ্ট্রের আমলা অনিল গায়কোয়াড়ের পুত্র অশ্বজিতের বিরুদ্ধে তাঁর প্রেমিকা প্রিয়াকে গাড়িচাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলার জল এখনও বহু দূর গড়িয়েছে।
গাড়িচাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগের পর এ বার অশ্বজিতের বিরুদ্ধে মামলা তোলার জন্য চাপ দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়া। ইনস্টাগ্রামে প্রিয়া লিখেছেন, “আমার ডান পা ভেঙে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। আমার সারা শরীরে চোট। কম করে ৩-৪ মাস শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হবে। তার পর আগামী ছ’মাস সময় লাগবে স্বাভাবিক হাঁটার জন্য। আমার রোজগারের উপরই পুরো পরিবার চলে। এখন কী করে সংসার চলবে।”
প্রিয়ার দাবি, ৪-৫ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক অশ্বজিতের। তাঁর কথায়, “অশ্বজিতের জন্য আমি নিরাপদ নই। গত দু’দিন ধরে হাসপাতালে ওর বন্ধুরা আসছে। আমার বোনকে শাসাচ্ছে। কারণ আমি ওর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছি। আমি অত্যন্ত ভয়ে আছি। আমার পরিবার নিরাপদ নয়।”
মহারাষ্ট্র সরকারের রাজ্য সড়ক উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল গায়কোয়াড়ের পুত্র অশ্বজিৎ বিজেপি নেতাও বটে। তিনি ঠাণে জেলার বিজেপি যুবমোর্চার সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, প্রিয়া তাঁর বান্ধবী। টাকার লোভে তিনি এই মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। গোটা বিষয়টিকে চক্রান্ত বলেও দাবি করেছেন যুবক।
অশ্বজিতের দাবি, গত ১১ ডিসেম্বর একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে হোটেলে ছিলেন তিনি। সেখানে ভোরবেলা মত্ত অবস্থায় হাজির হন প্রিয়া। অনুষ্ঠানের মাঝে অশান্তি শুরু করেন তিনি। তাঁর আচরণে বিরক্ত হয়ে অনেকেই সেখান থেকে তরুণীকে চলে যেতে বলেছিলেন। অভিযোগ, তরুণী তাঁদেরও হেনস্থা করেন।