করিমগঞ্জ থেকে ছাড়ল ইঞ্জিন। ছবি: শীর্ষেন্দু সী।
করিমগঞ্জ থেকে ব্রডগেজ লাইনে প্রথম রেল ইঞ্জিন গেল পড়শি ত্রিপুরার কুমারঘাটে।
আজ সকাল ৯টা নাগাদ ইঞ্জিনটি করিমগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছয়। সেটিকে স্বাগত জানাতে স্টেশনে ভিড় জমিয়েছিলেন বিজেপি নেতা-সমর্থকরা। শিলচর-গুয়াহাটি ব্রডগেজ লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেনের উদ্বোধনের দিনের মতোই পরিস্থিতি তৈরি হয় আজও। কুমারঘাট-গামী ইঞ্জিনটির চারপাশে লাগিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পতাকা।
বিরোধী শিবিরের বক্তব্য— অসমে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শিলচর-গুয়াহাটি ব্রডগেজ লাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর বিষয় নিয়ে জোরদার প্রচার চালাবে বিজেপি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই এ সব কাজ করেছে বলে দাবি জানাবেন গেরুয়া দলের নেতারা।
ত্রিপুরার কুমারঘাটে ব্রডগেজ লাইনে ইঞ্জিন দেখতে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির বারবার অভিযোগ তুলেছে, অসমে তরুণ গগৈ এবং কেন্দ্রে পূর্বতন ইউপিএ সরকারের বরাক-বিরোধী মনোভাবের জন্যই ব্রডগেজে ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে ১৭ বছর সময় লেগেছে।
উল্লেখ্য, বরাকে যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর দিন সাধারণ মানুষের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ছিল। এ দিন করিমগঞ্জে ব্রডগেজ ইঞ্জিন পৌঁছয় সকাল ৯টায়। স্টেশনে হাজির ছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ইঞ্জিনে দলীয় পতাকা লাগানোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে এ দিন বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও দলের প্রতিনিধিকে সেখানে দেখা যায়নি। করিমগঞ্জে আধঘণ্টা থাকার পর ইঞ্জিনটি কুমারঘাট রওনা দেয়। বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক মিশনরঞ্জন দাস এ দিন দাবি করেছেন— বিজেপির উদ্যোগেই বরাকে ব্রডগেজে যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর সরকার দ্রুতগতিতে ব্রডগেজের কাজ শেষ করেছে। করিমগঞ্জ-ত্রিপুরা রুটে মার্চ মাসের মধ্যে ট্রেন চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy