লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার হাতে আজ ওয়াকফ বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) রিপোর্ট ও চূড়ান্ত সংশোধিত বিলের নথি তুলে দিলেন কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে সব মিলিয়ে ১৬টি বিল পেশ করতে চলেছে মোদী সরকার। তার মধ্যে ওয়াকফ বিল যেমন রয়েছে, তেমনি আসতে চলেছে অভিবাসন ও বিদেশি (নাগরিক) বিল। ওয়াকফের মতোই, মেরুকরণের লক্ষ্যে এ দেশে অবৈধ ভাবে বসবাসকারী মুসলিমদের চিহ্নিত করতে বিলটি আনা হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিরোধী দলগুলির নেতারা।
গতকাল জেপিসি কমিটির বৈঠকে ভোটাভুটির মাধ্যমে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাশ হয়। তারপরেই আজ সকালে রিপোর্ট স্পিকারের হাতে তুলে দেন জগদম্বিকা। পরে তিনি জানান, ওয়াকফ বিল নিয়ে জেপিসির মোট ৩৮টি বৈঠক হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত প্রায় ২৫০টি পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। যদিও আজ বাজেট অধিবেশনের আগে হওয়া সর্বদলীয় বৈঠকে সংখ্যাধিক্যের জোরে জেপিসিতে ওয়াকফ বিল পাশের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রায় সব বিরোধী দলের নেতারা। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই বিলে বিরোধীদের একটি সংশোধনী গৃহীত হওয়া তো দূর, আলোচনা পর্যন্ত হয়নি। এটা কি সংসদীয় গণতন্ত্রের নমুনা!’’ ডিএমকে নেতা টি আর বালুর কথায়, ‘‘সংসদের মতো সংসদীয় কমিটিও প্রহসনে পরিণত হয়েছে।’’
আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ওয়াকফ বিল ছাড়াও যে বিল ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতে পারে, তা হল অভিবাসন ও বিদেশি (নাগরিক) বিল। বিলটি এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় না এলেও, ওয়াকফের মতোই এটি মুসলিমদের অস্বস্তি বাড়াতে চলেছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। বিলটি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের মতে, মূলত বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে এসে বসবাস করা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ধরপাকড়ের যে আইন রয়েছে— তা শক্তিশালী করতেই বিলটি আনা হচ্ছে। বিহার ভোটের আগে অবৈধ ভাবে বসবাসকারী মুসলিমদের চিহ্নিত করার মাধ্যমে মেরুকরণের হাতিয়ারে শান দিতেই সরকার বিলটি আনতে চাইছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)