তাজনা নদী থেকে তোলা হচ্ছে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ঝাড়খণ্ডের খুঁটিতে। শুক্রবার পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
তাজনা নদীর সেতু পেরনোর সময় সামনে চলে এসেছিল একটি ট্রেলার। সেটির পাশ কাটাতে গিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে আছড়ে পড়ল যাত্রীবোঝাই গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল ৭ সওয়ারির। মৃতদের বয়স ২২-২৬ বছরের মধ্যে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাড়ির চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সকালে রাঁচির ৪০ কিলোমিটার দূরে খুটিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেতুর কাছের একটি দোকানের কর্মী বলেন, ‘‘সকালে জোরে বৃষ্টি পড়ছিল। হঠাৎ জলে ভারী কিছু পড়ে যাওয়ার প্রচণ্ড শব্দ পেলাম। ছুটে গিয়ে দেখি, সেতুর রেলিং ভেঙে একটি গাড়ি নদীতে পড়েছে। সেটি দ্রুত জলে ডুবে যাচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাজনা নদীতে জল বেড়েছে। এ দিন সকালে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে কয়েক হাত দূরেও দেখা যাচ্ছিল না। তার জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অনুমান। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমায়। বৃষ্টির জন্য উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছিল। গাড়িটি সেতু থেকে ৩৫ ফুট নীচে নদীতে পড়ে ডুবে যাওয়ায় কোনও যাত্রীই বাইরে বেরতে পারেননি। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ক্রেন ব্যবহার করে সেটিকে নদী থেকে তোলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই গাড়িটি রৌরকেলা থেকে এলাহাবাদ যাচ্ছিল। পাণ্ডের বাড়ি ওড়িশার সুন্দরগড় থানা এলাকায়। আনন্দ কৌশিক, সুশীল পাণ্ডে, রজনী ঝার ওড়িশা বীরমিত্রপুর থানা এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy