জোরে গান বাজানোর প্রতিবাদ করে গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।
গাড়িতে তারস্বরে গান বাজানোর প্রতিবাদ করেছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনা পঞ্জাবের রূপনগর জেলার আনন্দপুর সাহিবের। এখনও অধরা অভিযুক্তেরা।
ফেব্রুয়ারি মাসেই কানাডা থেকে পঞ্জাবের বাড়িতে ফিরেছেন ২৪ বছরের প্রদীপ সিংহ। কানাডাতে এক বোনের বাড়িতে থেকে ট্যাটু করার পদ্ধতি শিখছিলেন তিনি। আদতে গুরদাসপুরের গাজ়িকোট গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সঙ্গীদের নিয়ে তারস্বরে গান বাজাতে বাজাতে গাড়িতে ঘুরছিলেন জনৈক নিরঞ্জন সিংহ। প্রদীপ তাঁদের জোরে গান বাজাতে বারণ করেন। তা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। প্রদীপের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় নিরঞ্জনদের। তার পরই গণপিটুনির ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দেখা যায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন প্রদীপ। তাঁকে দ্রুত নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী হয়েছিল জানার জন্য এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার ছবি বলে দাবি করে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ঘুরছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, নিহঙ্গদের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে পাথর দিয়ে মারা হচ্ছে। আনন্দবাজার অনলাইনের সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
পুলিশ আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, নিরঞ্জনের সঙ্গে প্রদীপের আগে পরিচয় ছিল না। কেউ একে অপরকে চিনতেন না। গান বাজানো নিয়ে বচসার জেরেই গণপিটুনির ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy