Advertisement
E-Paper

ভারতীয় এজেন্টদের কেউ কেউ বিশ্নোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত! এ বার অভিযোগ আনল কানাডা পুলিশ

রবিবার কানাডা সরকারের তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, নিজ্জর-হত্যায় ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মার ‘ভূমিকা’ রয়েছে। সোমবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক পাল্টা জানায়, ট্রুডো-সরকারের এই পদক্ষেপ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অযৌক্তিক’।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৪
(বাঁ দিকে) জাস্টিন ট্রুডো। লরেন্স বিশ্নোই (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) জাস্টিন ট্রুডো। লরেন্স বিশ্নোই (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ এশিয়ায় স্বার্থসিদ্ধিতে লরেন্স বিশ্নোইয়ের দুষ্কৃতী দলকে কাজে লাগায় ভারত। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কানাডা পুলিশের। অভিযোগ, কুখ্যাত অপরাধীদের কাজে লাগিয়েই কানাডায় দক্ষিণ এশিয়া এবং খলিস্তানপন্থীদের গতিবিধির উপর নজর রাখে ভারত।

পুলিশ কমিশনার মাইক ডুহেন এবং তাঁর সহসচিব ব্রিজিট গভিন সোমবার দাবি করেছেন, বিশেষ করে বিশ্নোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ভারতীয় এজেন্টদের। অভিযোগ, কানাডাবাসী দক্ষিণ এশীয়দের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে তাঁরা নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িতদের সাহায্য নেন। এমনকি কখনও কখনও তোলাবাজি থেকে খুন— সবই করানো হয় তাঁদের মদতেই। যদিও ভারতের দাবি, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও শুরু থেকেই ভারতকে এই অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ দেয়নি কানাডা সরকার। ভারতকে নিয়ে কানাডার নানা অভিযোগের মাঝে ফের নতুন করে অভিযোগ ওঠায় টালমাটাল দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক।

রবিবার কানাডা সরকারের তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, নিজ্জর-হত্যায় ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মার ‘ভূমিকা’ রয়েছে। এর পর সোমবার সকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের এই পদক্ষেপ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অযৌক্তিক’। এর পর সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সঞ্জয়কে দেশে ফেরানোর কথা জানানো হয়। ভারতে নিযুক্ত কানাডার ছয় কূটনীতিকে বহিষ্কারও করা হয়। বহিষ্কৃত হন ভারতে কানাডার কার্যনির্বাহী হাই কমিশনারও। কানাডা হাই কমিশনের ওই ছয় কূটনীতিককে ১৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। নিজ্জরের রহস্যমৃত্যুর পিছনে ভারতের ‘হাত’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রী মোদী কানাডাকে পাল্টা দোষারোপ করেন, ভারত ভাগ করতে চাওয়া মৌলবাদী শক্তি খলিস্তানপন্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য।

Lawrence Bishnoi India-Canada Relation Agents Justin Trudeau
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy