Advertisement
E-Paper

দিল্লির হাতে এল দাউদের সঙ্গী টাকলা

অভিযোগ, দাউদের হয়ে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে মূলত যোগাযোগ রাখত টাকলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩০
ফারুক টাকলা

ফারুক টাকলা

আসল নাম ইয়াসিন মনসুর মোহামেদ ফারুক। মাথা জোড়া টাক। তাই অপরাধ জগতে পরিচিত ফারুক টাকলা নামে। দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ সেই ফারুক টাকলা আজ দুবাই থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামতেই গ্রেফতার করে সিবিআই। ১৯৯৩ সালে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ জড়িত থাকার অভিযোগে আজই টাডা আদালতে পেশ করা হয় তাকে। আদালত ১৯ মার্চ পর্যন্ত টাকলাকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। আজকের ওই গ্রেফতারির পরে কেন্দ্রের একাংশের দাবি, এর পরের লক্ষ্যই হল দাউদ ইব্রাহিম। বিজেপির একাংশ চাইছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে দাউদকে কোনও ভাবে নিয়ে এসে দেশবাসীকে বার্তা দিতে।

অভিযোগ, দাউদের হয়ে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে মূলত যোগাযোগ রাখত টাকলা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, মুম্বই বিস্ফোরণের আগে ওই কাজের জন্য স্থানীয় যুবকদের চিহ্নিত করা, জড়ো করা ও পরে তাদের দুবাই হয়ে পাকিস্তানে পাঠানোর দায়িত্বে ছিল ফারুক। যেখানে বিস্ফোরক বানানো থেকে অস্ত্রশিক্ষার প্রশিক্ষণ পায় ওই যুবকেরা।

তবে মুম্বই বিস্ফোরণের পরেই দেশ ছেড়ে পালায় ফারুক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানে কিছু দিন থাকার পরে দুবাইতে থিতু হয় ফারুক। সেখানে দাউদের ব্যবসা দেখার দায়িত্বে ছিল সে। সিবিআই জানাচ্ছে, দাউদের জাল টাকা ও মাদকের ব্যবসা দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল সে। নিয়মিত ভাবে জাল পাসপোর্ট নিয়ে করাচিতে দাউদের সঙ্গে দেখা করতেও যেত। ১৯৯৫ সালে রেড কর্নার নোটিস জারি হয় ফারুকের বিরুদ্ধে।

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেফতার হবেন জেনেও কেন ওই ব্যক্তি দুবাই থেকে দিল্লিগামী বিমানে চাপলেন। সূত্র বলছে, দুবাই সরকার, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ যৌথ ভাবে অপারেশন চালিয়ে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার করে ফারুককে। সিআইএ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করার পরে তাদের নজরদারিতে মুম্বইগামী বিমানে চাপিয়ে দেওয়া হয় টাকলাকে। মুম্বইতে নামলে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গোটা অপারেশনটি পরিচালনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

প্রশ্ন হল মুম্বই বিস্ফোরণের মূল মাথা দাউদ কবে ধরা পড়বে। গতকালই দাউদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি উস্কে দিয়েছেন দাউদের ভাইয়ের আইনজীবী শ্যাম কেশওয়ানি। সংবাদমাধ্যম দাবি করে, দাউদ আত্মসমর্পণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন কেশওয়ানি। কিন্তু পরে কেশওয়ানি জানিয়েছেন, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বছর সাতেক আগে দাউদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাবের কথা বলেছিলেন। নতুন ভাবে কোনও প্রস্তাবের কথা তাঁর জানা নেই। সাত বছর আগে আইনজীবী রাম জেঠমলানীর মাধ্যমে দাউদ আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিল।

Dawood Ibrahim CBI Farooq দাউদ ইব্রাহিম
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy