রেজিস্টার মামলায় ফের ধাক্কা খেলেন সিবিআই প্রধান রঞ্জিত সিনহা।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে রঞ্জিতের বাড়ির একটি রেজিস্টার জমা দেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। অভিযোগ, ওই রেজিস্টারে টুজি, কয়লা কেলেঙ্কারি মামলার অভিযুক্ত-সহ বেশ কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির নাম রয়েছে। বাড়িতে ওই অভিযুক্তদের সঙ্গে বৈঠকের পরে রঞ্জিত তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ভূষণ। জবাবে রঞ্জিতের আইনজীবী বিকাশ সিংহ জানান, একটি কর্পোরেট সংস্থা টুজি মামলায় অভিযুক্তদের সুবিধে করে দিতে কলকাঠি নাড়ছে। ভূষণের হাতে রেজিস্টার পৌঁছে যাওয়া তারই ফল। ওই রেজিস্টারের অধিকাংশ নামই ভুল। ভূষণ কার কাছ থেকে রেজিস্টার পেয়েছেন তা জানা প্রয়োজন বলে সওয়াল করেন বিকাশ। সেই আর্জি মেনে রঞ্জিতকে রেজিস্টার পাওয়ার সূত্র জানাতে বলে বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
জবাবে ভূষণ জানান, তিনি ওই ব্যক্তির নাম জানাতে পারবেন না। কারণ, তাহলে ওই ব্যক্তির প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। রেজিস্টারে থাকা তথ্য ঠিক কি না তা রঞ্জিতের বাড়ির রক্ষীদের জেরা করে জানা যেতে পারে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে মামলাটি লড়ছেন ভূষণ। আজ তাঁর সঙ্গে ওই সংস্থার পক্ষে হাজির ছিলেন আর এক কৌঁসুলি দুষ্মন্ত দাভে। শুনানির শুরুতেই ওই ব্যক্তির পরিচয় না জানাতে পারায় বেঞ্চের কাছে ক্ষমা চান ভূষণ ও দাভে। পরিচয় গোপন রেখেই শুনানি চালানোর আর্জি জানান তাঁরা। তাতে আপত্তি জানান রঞ্জিতের কৌঁসুলি বিকাশ সিংহ। তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তির নাম না জানালে আর এক দিনও শুনানি চালানো উচিত নয়। তাতে টুজি মামলা ও জনস্বার্থের ক্ষতি হবে।” কিন্তু আজ বেঞ্চ বিকাশের যুক্তি মানতে রাজি হয়নি। বিচারপতিরা বলেন, “আমরা আপনার সঙ্গে এক মত নই। এই আর্জি শোনা যেতে পারে বলেই মনে করি। আমাদের কোনও ভুল হয়ে থাকলে তাও শোধরানো যেতে পারে।” এই শুনানিতে বেঞ্চকে সাহায্য করার জন্য টুজি মামলার বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আনন্দ গ্রোভারকে অনুরোধ করেছে বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy