Advertisement
২১ মে ২০২৪

বিরোধী খতমের চক্রান্ত, বলছেন বিরোধীরা

ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের আগে দলের আরও কিছু নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে সনিয়া গাঁধীর দলও।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০৩:২০
Share: Save:

মাত্র দু’দিন আগেই লালু প্রসাদ বলেছিলেন, অখিলেশ আর মায়াবতী এক সঙ্গে এলেই নরেন্দ্র মোদীর খেলা শেষ। আর আজ সেই লালুর গোটা পরিবারের বিরুদ্ধেই হানা দিল সিবিআই! যার পরে বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, এটা কি ঘুরপথে অখিলেশ-মায়াকে বার্তা?

পরবর্তী লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা মোদীর বিরুদ্ধে যত আক্রমণাত্মক হচ্ছে, ঘটনাচক্রে তাদের বিরুদ্ধে তত সক্রিয় হচ্ছে সিবিআই, ইডি, আয়করের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। আজ লালু নিজেও বলেছেন, ‘‘বেছে বেছে অখিলেশ, মায়াবতী, মমতাদিদি, শরদ পওয়ার— সকলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হচ্ছেন মোদী-অমিত শাহ।’’ একই সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, ‘‘এ সবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। যখনই বিরোধীরা কোনও প্রতিবাদ সংগঠিত করতে চায়, তখনই এই ঘটনা ঘটে। আমরাও এ সবের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু আমরা এতে ভয় পাই না।’’ ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের আগে দলের আরও কিছু নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে সনিয়া গাঁধীর দলও। দলের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘২০০৪ সালের ঘটনার ১৩ বছর পর এখন খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে, তা-ও মোদী সরকার ৩ বছর নীরব থাকার পর! এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কী?’’

বিজেপি নেতাদের অবশ্য দাবি, ‘‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। আজ যাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ করছে, তাঁদের দুর্নীতির কথা সকলেই জানেন। আর সব দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারাই এখন একজোট হয়ে ২০১৯ সালে মোদীকে উৎখাত করতে চাইছেন।’’

বিজেপি যা-ই বলুক, বিরোধীদের অভিযোগ, আসলে সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে মোদী বিরোধী নেতাদের জেলে ভরে নিজের দলের প্রসার ঘটাতে চাইছেন। সে কারণেই হাতছাড়া হওয়া বিহারে ঘুরপথে ক্ষমতা পেতে লালুকে বিপাকে ফেলছেন। ওড়িশায় পঞ্চায়েতে ভাল ফলের পর সেখানে পরের বিধানসভায় নবীনকেও উৎখাত করার অঙ্ক কষছে বিজেপি। একই ভাবে মমতাকে দুর্নীতির নানা জালে জড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গেও ভিত শক্ত করতে মরিয়া অমিত শাহরা। মায়াবতী-মুলায়মের বিরুদ্ধে মামলা আগেই চলছিল। এ বারে অখিলেশকেও সিবিআই জালে জড়াতে তাঁর জমানার দুর্নীতির এক লম্বা ফিরিস্তি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে অন্য বিরোধীদের ফাঁসানোর নকশাও বানাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, এই ভাবেই নানা ভাবে দেশের সর্বনাশ করেও শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশকে বিরোধী-শূন্য করার চক্রান্ত করছেন মোদী-অমিত শাহেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE