প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিলেন সিবিএসই কর্তৃপক্ষ। যে সব পড়ুয়ারা প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের সর্ব্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং যারা পরোক্ষ ভাবে প্রশ্ন ফাঁসের ফায়দা পেয়েছে, তাদের এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত কোনও পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড।
দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতি ও দশম শ্রেণির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে সিবিএসই। ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সম্ভাব্য দিকগুলি খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গড়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে ৩ শিক্ষক, ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে যথাক্রমে দশম শ্রেণির ৯ জন ও ২ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই ছাত্রদের সঙ্গে সরাসরি প্রশ্ন ফাঁসের যোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য দোষী পরীক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, পুলিশি তদন্তে যে পরীক্ষার্থীদের নাম পাওয়া যাবে তাদের উত্তরপত্র বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখা হবে। সেই ফলাফল যাবে রেজাল্ট কমিটির কাছে। রেজাল্ট কমিটি সব খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে, ওই ছাত্র প্রশ্ন ফাঁসের আদৌ ফায়দা পেয়েছিলেন কিনা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরীক্ষার্থীকে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে সিবিএসই।
আর যে পরীক্ষার্থীরা সরাসরি প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত, তাদের ক্ষেত্রে আরও কড়া পদক্ষপে করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বোর্ডের সুপারিশ হল, পাঁচ বছরের জন্য তাদের সিবিএসই-র পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া। ওই সময়ে ওই পরীক্ষার্থী যাতে কোনও রাজ্য বোর্ড বা সরকারি পরীক্ষাতেও বসতে না পারে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চাইছে সিবিএসই। এর জন্য দেশের সব ক’টি শিক্ষা বোর্ড ও সরকারি নিয়োগ সংস্থার কাছে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর সমস্ত তথ্য জানিয়ে দেবে সিবিএসই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy