বেশি ব্যবহারে ক্যানসার হতে পারে, এই সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা চলছিল অনেক দিন ধরেই। গ্যাস-অম্বলের উপশমের জন্য সেই র্যান্টিডিন গোত্রের ওষুধ নিয়ে এ বার কড়া কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যে রাজ্যে গেল তদন্তের নির্দেশ। ওই সব ওষুধে ক্যানসারের উপাদান কতটা পরিমাণে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বলল ‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন’ (সিডিএসসিও)।
সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ, র্যান্টিডিন তৈরি করার সময়ে এন-নাইট্রোসোডিমিথাইলামাইনের (এনডিএমএ) মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। ওই ওষুধ যাতে দীর্ঘ দিন ধরে দোকানে পড়ে না থাকে, তা-ও দেখতে হবে।
র্যান্টিডিন হল হিস্টামিন-২ ব্লকার গ্রুপের ওষুধ। ভারতে র্যানট্যাক, জ়িনট্যাক, অ্যাসিলক নামে বাজারে পাওয়া যায়। অম্বল, পেটব্যথা হলে এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজ়িয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি), গ্যাসট্রিক আলসারের রোগীদেরও এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় অনেক সময়।
র্যান্টিডিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত বছরের ডিসেম্বরে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সিডিএসসিও। ২০১৯ সাল থেকে র্যান্টিডিন ওষুধ নিয়ে নানা রকম অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আমেরিকার খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ামক সংস্থা (এফডিএ) অভিযোগ করে, ক্যানসারের কারণ হতে পারে, এমন উপাদানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে র্যান্টিডিনে। এই ওষুধ খেলে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এমন খবরও রটে। আমেরিকায় এই ওষুধ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় ২০২০ সাল থেকে। ভারতেও ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। দাবি করা হয়, এই র্যান্টিডিনে রয়েছে এন-নাইট্রোসোডিমিথাইলামাইন (এনডিএমএ) নামক একটি উপাদান, যা পাকস্থলি, খাদ্যনালি, মূত্রাশয়ের ক্যানসারের কারণ হতে পারে।