ফাইল ছবি।
বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিওপিটি-র ওয়েবসাইটে। অথচ কেন্দ্রেরই ক্যাবিনেট বা মন্ত্রিসভা সচিবালয় বলছে, সেই বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই!
এই বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে কেন্দ্রীয় সরকারে যুগ্মসচিব পর্যায়ের ১০ জন অফিসারকে সরাসরি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে। ওই নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় কেন্দ্রেরই ডিওপিটি-র ওয়েবসাইটে। তথ্য জানার অধিকার নিয়ে আন্দোলনরত অমিতাভ চৌধুরী এই বিষয়ে সরকারি নির্দেশের প্রতিলিপি, যে-বৈঠকে এটা ঠিক হয়েছিল তার কার্যবিবরণী, বৈঠকে কারা কারা ছিলেন, সেই সব তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি দেন ‘ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং’-এর ভারপ্রাপ্ত অফিসারকে। কিন্তু এই বিষয়ে কিছুই জানে না কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবালয়! ওই সচিবালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি কে জে সিবিচান (আরটিআই এবং সিপিআইও) সম্প্রতি চিঠির উত্তরে অমিতাভবাবুকে জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়ে কোনও তথ্য তাঁদের জানা নেই।
কোন কোন দফতরে ওই অফিসারদের নিয়োগ করার কথা? অমিতাভবাবু জানান, ডিওপিটি-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছিল, রাজস্ব, অর্থ, অর্থ বিষয়ক, কৃষি ও সমবায়, সড়ক পরিবহণ, জাহাজ পরিবহণ, পরিবেশ এবং বন মন্ত্রকে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করা হবে। কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যুগ্মসচিব-পদে কর্মরত অফিসার, পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং, স্বশাসিত সংস্থা, বিধিবদ্ধ সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা, বহুজাতিক সংস্থায় ১৫ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। তা ছাড়াও এই দেশের নাগরিক এবং মেধাবী ব্যক্তিরা (২০১৮ সালের ১ জুলাই যাঁদের বয়স হবে ৪০ বছর) প্রার্থী হওয়ার যোগ্য। ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ হবে। পরে চুক্তির মেয়াদ দু’বছর বাড়ানো হতে পারে। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল অনলাইনে।
অমিতাভবাবুর অভিযোগ, তথ্য জানার অধিকার আইন আছে। কিন্তু তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। ‘‘এই অবস্থায় ক্যাবিনেট সচিবালয়ের উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে আবার চিঠি দিয়েছি,’’ বললেন অমিতাভবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy